'জিএসপি মেটার করে না'

, সংসদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 22:46:50

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি কিছু পণ্যে জিএসপি সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে সে দেশের সরকার। এ নিয়ে গত কয়েক বছর নানা চেষ্টা করেও সেই সুবিধা পুনর্বহাল করতে পারেনি সরকার।

এ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, 'আমরা তাদের ১৬টি শর্ত পূরণ করেছি। আর শর্ত বাকি থাকলে সেটাও করব। কিন্তু তাতেও ফেরত পাব কি না সেটা জানতে চেয়েছি। তবে যে সকল পণ্যে জিএসপি সুবিধা পেতাম তাতে জিএসপি বন্ধ হওয়ায় খুব একটা মেটার করে না।'

মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান ও বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, 'জিএসপি’র কথা বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে যা রফতানি হয় তার ৯০ ভাগই হচ্ছে তৈরি পোশাক। তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে জিএসপি’র কোনো প্রভাব পড়ছে না। প্রভাব পড়ছে অন্য কিছু আইটেমের ওপর, যেটা খুব বেশি একটা মেটার করে না। তারপরেও আমরা মনে করি যে সকল শর্ত দিয়ে জিএসপি বন্ধ করা হয়েছে।'

টিপু মুনশি বলেন, 'তারা যে ১৬টি শর্ত দিয়েছিল সেগুলো আমার পূর্বসূরি তোফায়েল সাহেব অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পূরণের চেষ্টা করেছেন। আমিও গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের হাই কমিশনারের সাথে কথা বলেছি, আবারও সেই প্রশ্ন তুলেছি আমরা ১৬টা শর্ত পূরণ করেছি বা যেগুলো বাকি আছে সেট তো আমরা করব। কিন্তু তারপরেও কি সিদ্ধান্তটা আসবে? আমি জানতে চেয়েছি। আসলে ব্যাপারটা রাজনীতির কি না? যাই হোক আমরা কথা বার্তা চালাব।'

মন্ত্রী আরও বলেন, 'তারা প্রশ্ন তুলেছে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে, আমাদের সংসদে আইন আছে সেটাও হয়ে যাবে। আমি বিশ্বাস করি, জিএসপি’র ব্যাপারটা আমরা শর্টআউট করতে পারব। টিকফা নিয়েও আলোচনা চলছে।'

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রফতানি পণ্যের চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আমরা প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার রফতানি করি। আর ওদের ওখান থেকে আসে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। আমরা অনেক বেশি রফতানি করি। কাজেই ওদেরও অনেক কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ট্যাক্স নিচ্ছে কথাটি সত্য। যদি শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতাম তাহলে ভাল হত। কিন্তু তারা তো দিচ্ছে না, চেষ্টা করছি। আমেরিকা সবচেয়ে বড় দেশ। তাদের অর্থনীতিতে আমারাও কিছু টাকায় পয়সা দেই কাজেই তাদের অর্থনীতিতে আমাদেরও অবদান আছে। কাজেই আগামীতে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করি।'

এ সম্পর্কিত আরও খবর