রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশেষ কমিটি গঠনের দাবি সংসদে

, সংসদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 04:59:05

মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা মুসলমানদের নিয়ে আবারও বিচলিত দুইজন সংসদ সদস্য। তারা বিষয়টি নিরসনে সরকারের কাছে একটি বিশেষ কমিটি গঠনের পাশাপাশি তাদের কোথাও আশ্রয় না দেওয়ার দাবি তুলেছেন সংসদে।

রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ একাংশের নেতা মঈনুদ্দিন খান বাদল। তার সেই বক্তব্যে সমর্থন করে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ডা. মো. রুস্তম আলী ফরাজী।

সংবাদ মাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে মঈনুদ্দিন খান বাদল বলেন, 'আজ দেখলাম পররাষ্ট্র মন্ত্রী রোহিঙ্গাদের জন্য সেফ জোন করার চিন্তা ভাবনা করছেন। আমি রোহিঙ্গা ইস্যুতে সঠিক নির্দেশনা চাই।'

তিনি বলেন, 'আমি আগেও প্রতিবাদ করেছি, আবারও করছি। রোহিঙ্গাদের দেশের ভেতরে ঢুকাবেন না। সেটা ঠ্যাঙ্গার চর, অমুক চর কোথাও তাদেরকে স্থায়ী জায়গা দিতে পারেন না। কারণ এই বার্মিজরা পর মুহূর্তেই বলবে আপনাদের লোক আপনারা নিয়ে গেছেন। ওরা এরই মধ্যে এই কথাগুলো বলতে শুরু করেছেন।'

বাদল বলেন, 'মিয়ানমারর সরকার রোহিঙ্গা ল্যান্ড বলে একটি ল্যান্ডের কথা আবিষ্কার করার চেষ্টা করছেন। এই রোহিঙ্গা ল্যান্ড কোথায়? আমাদের ফোকাস হওয়া উচিত উখিয়া যেটা এখন শিতাওয়ে সেখান থেকে বর্ডার পর্যন্ত রোহিঙ্গা মুসলামনরা থাকেন। এই এলাকাতেই রোহিঙ্গাদের সেফ জোন করা। বার্মার অবস্থানটাই এমন কেউ কারো জায়গায় সেফ জোন হবে না।'

তিনি বলেন, 'মিয়ানমার সরকার সারাবিশ্বে সববেচয়ে ‘আন ট্রাস্টঅ্যাবল’ সরকার। তারা সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি খোঁচাখুঁচি করতে পারদর্শী লোক। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত-চীনের সহযোগিতা চাই। এখানে আরও একটি দেশের নামযুক্ত করতে বল সেটা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ভিটার সংস্থাটা বিড়ালকে দিতে পারেন না।'

পরে রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, 'রোহিঙ্গা এখন বার্নিং ইস্যু। তাদের ফেরত যাওয়ার কথা ছিল ১৫ নভেম্বর। এখন কোন রকম সাড়া নাই। শব্দ নাই বরং আরও আসছে। ভারত থেকেও ১৫০০ রোহিঙ্গা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে এসেছে। সৌদি আরব থেকে আসার উপক্রম আছে। সুতরাং বিরাট সমস্যা।'

রোহিঙ্গা আসার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন তিনি বলেন, 'যেভাবে আগে তৎপর ছিলাম সেই তৎপরতা আমার মনে হয় একটু কম। আমাদের তৎপরতা বাড়ানো উচিত। জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধিকে দিয়ে বিষয়টিকে আলোড়িত করা উচিত। ভারত নীরবে অর্থনৈতিক সহায়তা করেছে। যদি সৌদি আরব জাতিসংঘ এক করে আওয়াজ না করতে পারেন একদিন বিষফোঁড়া চেয়ে বড় বিষফোঁড়া হয় উঠবে।'

এজন্য তিনি বিষয়টা ২৬৬ বিধি অনুসারে একটি বিশেষ কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'বিষয়টা খতিয়ে দেখতে ১৫-২৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করার যেতে পারে। সেই কমিটি ভাষাণচর, মিয়ানমার পরিদর্শন করে সমস্যা সনাক্ত করে সরকারকে সহায়তা করতে পারে।'

এ সম্পর্কিত আরও খবর