কিশোরগঞ্জ: ছবির বাম পাশের জন ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামী সার্জেন্ট জলিলের কন্যা ফৌজিয়া জলিল ন্যান্সি। ডান পাশের জন কিশোরগঞ্জ মহকুমা আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য, ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ডা. এ এ মাজহারুল হকের কন্যা শায়লা পারভিন সাথী। দুজনেই কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য, জেলার নারী রাজনীতির উজ্জ্বল মুখ।
রক্ত, ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকারের ধারায় রাজনীতি তাদের নিজস্ব পথ রচনা করেছে। আজন্ম মিশেছেন মানুষের সাথে। পারিবারিকভাবেই বড় হয়েছেন রাজনৈতিক আবহে। ছাত্রজীবন থেকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করেছেন জীবনদর্শনে।
পেশাগত জীবনে দুজনই শিক্ষকতায় জড়িত। সংশ্লিষ্ট আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। জেলার সামগ্রিক উন্নয়ন আর নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করছেন নিরন্তরভাবে। সরব করেছেন দুজনেই কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের কার্যক্রমে।
বার্তা২৪.কমকে ফৌজিয়া জলিল ন্যান্সী জানান, 'মানুষের জন্য কাজ করাই আমার ব্রত। কাজের মাধ্যমে রাজনীতিক আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।'
শায়লা পারভিন সাথী বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতি করছি। দুর্নীতি, অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবো আজীবন।'
শায়লা পারভিন সাথীর পৈত্রিক রাজনৈতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে রয়েছে তার স্বামী জনপ্রিয় চেয়ারম্যান নাদিমের কর্মকাণ্ড, যেজন্য তিনি কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-ন্যামতপুরের তৃণমূল মানুষের সুখ-দুখে পাশে রয়েছেন।
ন্যান্সী-সাথী কিশোরগঞ্জের নারী রাজনীতির বর্তমান বাস্তবতায় উল্লেখযোগ্য অবস্থান লাভ করেছেন অবিরাম জনসম্পৃক্তার মাধ্যমে। তাদের রক্তেই রয়েছে রাজনীতির দীক্ষা ও প্রবণতা। শিক্ষকতার পেশার বাইরে পুরো সময়ই তারা রাজনীতির মাঠে-ময়দানে ছুটে বেড়ান। অবহেলিত, নির্যাতিত নারী সমাজের নানা দাবি-দাওয়া ও প্রত্যাশা মেটাতে কাজ করেন।
গতানুগতিক রাজনীতির সীমা ছাড়িয়ে দুজনই সমাজের গভীর শেকড়ে চলে গেছেন। নিজেদেরকে নিয়োজিত রেখেছেন ডিজিটাল ও অনলাইন জগতেও। মডারেট বা এডমিন হিসাবে একাধিক গ্রুপের মাধ্যমে নিজেদের কাজ ও মতাদর্শকে ফুটিয়ে তুলছেন লক্ষ মানুষের কাছে।
'বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতামুক্ত উন্নত ও অগ্রসর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ই তাদের রাজনীতির মূল কথা', জানালেন কিশোরগঞ্জের নারী রাজনীতির উজ্জ্বল মুখ ফৌজিয়া জলিল ন্যান্সী ও শায়লা পারভিন সাথী।