ঢাকা: রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে না গিয়ে যত্রতত্র পশু কোরবানি করা হয়েছে। এতে পরিবেশ দূষণের শঙ্কায় সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে বর্জ্য পরিষ্কার করছে নগরবাসী।
নগরবাসী বলছে, সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থান দূরে, সেজন্য বাসাবাড়ির অলিগলিতে পশু কোরবানি দেয়া হয়েছে। তাই তারা নিজেরাই এখন পরিষ্কার করছে।
এদিকে রাজধানীবাসীর মধ্যে এই ইতিবাচক পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, অধিকাংশ কোরবানি নির্ধারিত স্থানে দেয়ার চেষ্টা করেছে নগরবাসী।
পশু কোরবানির জন্য ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এক হাজার ১৭০টি স্থান নির্ধারণ করে দেয়। এর মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৬২০টি এবং উত্তর সিটি করপোরেশনে ৫৫০টি স্থান ঠিক করে দেয়া হয়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উত্তর সিটির ৩৬ নাম্বার ওয়ার্ডের মগবাজারের মধুবাগ মাঠে বালু থাকার কারণে এবং দূরে হওয়ায় কেউ সেখানে কোরবানি দেয়নি। এই মাঠের পাশে রাস্তায় কোরবানি দেয় অনেকেই। কলাবাগানেও একই ঘটনা ঘটেছে। নির্ধারিত স্থান দূরে হওয়ায় বাসার পাশে পশু কোরবানি দেয় এলাকাবাসী।
তবে সাময়িকভাবে রাস্তার বর্জ্য পড়ে থাকলেও তা স্ব-উদ্যোগে পরিষ্কার করছে এলাকাবাসী। বাড়ির পাশে কোরবানি দেয়ার পর পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করেছে তারা।
কোরবানি পশুর বর্জ্য পরিষ্কারের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল বলেন, ‘দুপুরের দিকে বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করতে সমর্থ হব।’
তিনি আরও বলেন, ‘পশু কোরবানির জন্য নির্ধারিত স্থানের বাইরে অনেকেই পশু জবাই করেছে। নির্ধারিত স্থানটি দূরে এবং সেখানে সংকুলান না হওয়ায় বাসার নিচে বা রাস্তার পাশে কোরবানি দিয়েছে তারা। তবে নিজ উদ্যোগে তা পরিষ্কারও করছে এলাকাবাসী। এটা ইতিবাচক দিক।’