রংপুর: পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনের জন্য প্রস্তুত উত্তরের বিভাগীয় নগরী রংপুর। ইতোমধ্যে ঈদগাহ ঘিরে ঈদের নামাজের জামাত আদায়ের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। এবার রংপুর মহানগরীতে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।
কালেক্টরেট ঈদগাহে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, সিটি মেয়র, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের প্রায় ত্রিশ হাজার মুসল্লি ঈদ জামাতে অংশ নেবেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্র জানিয়েছে, আবহাওয়া খারাপ থাকলে কালেক্টরেট ঈদগাহের পরিবর্তে কাচারী বাজার কোর্ট জামে মসজিদে সকাল পৌনে ৯টায় প্রথম জামাত, সোয়া ৯টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এবার রংপুর বিভাগে ৭ হাজার ৩৩২টি স্থানে ঈদের জামাত আদায় করবেন মুসল্লিরা। উপ-মহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে রংপুর বিভাগের দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ বড় ময়দান ঈদগাহে। এখানে প্রায় চার লক্ষাধিক মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
এছাড়া রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী তালুক হাবু ভুবন শাহী ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এখানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
অন্যদিকে সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের লালমনিরহাটে ঈদ উদযাপন করবেন। অন্যদিকে মিঠাপুকুরে আশিকুর রহমান এমপি, কাউনিয়ায় টিপু মুন্সি এমপি, বদরগঞ্জে আবুল কালাম, মো. আহসানুল হক চৌধুরী, ডিউক এমপি নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকাতে ঈদের জামাতে অংশ নেবেন।
রংপুর পুলিশ লাইন মাঠে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া খারাপ থাকলে পুলিশ লাইন জামে মসজিদে একই সময়ে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া রংপুর মহানগরীর বেশির ভাগ মসজিদ, মাদরাসা ও ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে ঈদকে ঘিরে পুরো রংপুর নগরীকে ঈদ মোবারক লেখা রঙিন পতাকা ও আলোকসজ্জায় বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহ ময়দানসহ নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। সড়ক পথে শৃঙ্খলা ফেরাতে রয়েছে পুলিশ চেকপোস্ট। ঈদে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চার স্তরের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
নগরবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, পবিত্র ঈদ উল আজহার উৎসবকে নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ঈদের আনন্দ যেন সকল স্তরে সবার মাঝে পৌঁছে যায় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এই ঈদের ত্যাগের শিক্ষার মাধ্যমে আগামীর সুন্দর নগরী গড়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা তার।
বাংলাদেশ পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য জানান, উৎসবমুখর পরিবেশে মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে নিরাপদে ঈদ উদযাপন করতে পারে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।