বাড়ছে পশুর হাটে ক্রেতা সমাগম

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপেন্ডন্ট,বার্তা২৪.কম | 2023-08-09 19:51:29

পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র দুদিন। রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে এখনও কোরবানির গরু আসছে। সকালে হাটগুলোতে সমাগম কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা সমাগম বেড়েছে। বিক্রেতা ও হাট কর্তৃপক্ষ বলছেন, দিনের বেলা ক্রেতা সমাগম কিছুটা কম থাকলেও বিকাল থেকে ক্রেতা সংখ্যা বেড়েছে। তবে ক্রেতারা গরুর ভালো দাম বলছেন না। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন গরুর দাম কিছুটা বেশি। আগামীকাল দাম কিছুটা কমতে পারে, তাই অনেকে হাট ঘুরে ফিরে যাচ্ছেন।

রোববার (১৯ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর মেরাদিয়া মৌজার হাট ও আফতাব নগর হাট ঘুরে দেখা গেছে, সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্রেতা সংখ্যা। সকালের হাটগুলো অনেকটাই ক্রেতাশূন্য ছিল। বিক্রাতারা ক্রেতাদের আশায় শুয়ে বসে অপেক্ষা করেছেন। কেউ আবার পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। কিন্তু বিকাল থেকে ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। নানা প্রান্ত থেকে হাটগুলো ক্রেতারা এসেছেন পছন্দের পশু কিনতে। আর বিক্রেতারাও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বেচাকেনায়।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর এলাকা থেকে ২২টি গরু নিয়ে আফতাবনগর হাটে এসেছেন লক্ষ্মন কুমার। এরমধ্যে তিনি সবচেয়ে বড় গরুটির দাম হাকছেন এক লাখ ১০ হাজার টাকা। তবে ক্রেতারা ৬০ থেকে ৭০ হাজারের বেশি দাম বলছেন না বলে জানালেন তিনি। লক্ষ্মন কুমার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় গরুডার দাম যা কইতাছে, তাতে আমার চালানও উঠব না। আর অন্যগুলার তো কোন দামই কইতাছে না। তয় গরুগুলার দাম না পাইলে দরকার অইলে ফেরত নিয়া যামু। তাও লসে গরু বেচুম না।’

আরিফুল ইসলাম নামের বেসকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক ক্রেতা জানালেন, গরুর দাম খুবই চড়া। এতো দামে গরু কেনা সম্ভব না। আজ বোধয় আর গরু কিনতে পারব না। কাল আবার আসব, আশা করি দাম কিছুটা কমবে।

মেহেরপুরের গাংনি থেকে মেরাদিয়া হাটে ২২টি গরু নিয়ে এসেছেন বিপ্লব ব্যাপারী। তিনি সবচেয়ে বড় গরুটির দাম চাইছেন দেড় লাখ টাকা। তবে কেউ এক লাখের উপর বলছেন না বলে জানালেন তিনি। বিপ্লব মিয়া বলেন, "হাটে কোন কাস্টমার নাই। একটা গরু বেচলাম ৮০ হাজার টাকায়। বাকিগুলার কাস্টমারই দেহি না। বড় গরুডার দাম ১ লাখ কইছে বেচি নায়। দেহি বেশি দাম উড়েনি।"

আফতাবনগর হাটের ২ নম্বর কাউন্টারের দায়িত্বরত মো: সোহেল বার্তা২৪.কমকে বলেন, অন্যান্যবারের চেয়ে এবার গরুর বিক্রি কিছুটা কম। প্রতিবছর এমন সময়ে প্রায় ৪০ ভাগ গরু বিক্রি হলেও এবার ৩০ ভাগ গরুও বিক্রি হয়নি। তবে বিকাল থেকে ক্রেতা বেড়েছে। আশা করছি রাতের মধ্যে বেচাকেনা অনেক বাড়বে।

হাট ঘুরে দেখা গেছে, এবারের কোরবানির হাটে দেশীয় গরুর সংখ্যাই বেশি। ক্রেতাদের কাছে দেশি গরুর চাহিদা বেড়েছে। তবে ভারতীয় গরুও রয়েছে। ব্যাপারিরা জানিয়েছে, মাঝারি আকারের গরুর চাহিদাই বেশি বলে। হাটে প্রচুর গরু রয়েছে। এখনও ট্রাক ভর্তি গরু আসছে হাটগুলোতো।

ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম অনেক বেশি। এক লাখের গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে দেড় লাখ টাকা। এমন অভিযোগ বিষয়ে ব্যাপারীরা বলছেন, খরচ বেশি। খাদ্য, ওষুধ, পরিবহন ও রাস্তার খরচ মিলে পশুর দাম বেশি পড়েছে।

পশুর হাটগুলোতো পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তারা সন্তুষ্ট। শেষে দিন পর্যন্ত এ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে  আশা প্রকাশ করেন তারা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর