খালেদাকে রাজনীতি থেকেও নির্বাসিত করতে হবে

খুলনা, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 15:39:11

খুলনা: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, `স্বাধীনতা বিরোধী, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের পুনরায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পথ রোধ করতে খালেদা জিয়াকে শুধু নির্বাচন থেকে নয়, রাজনীতি থেকেই নির্বাসিত করতে হবে। তা না হলে পাকিস্তানি দোসর স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-বিএনপি আবার ছোবল দেবে।’

রোববার দুপুরে (১২ আগস্ট) বাংলাদেশ বেতার খুলনা আঞ্চলিক কেন্দ্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান স্মৃতি ভাস্কর্য উদ্বোধনের পরে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

জেনারেল জিয়াউর রহমানের কঠোর সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জেনারেল জিয়াউর রহমান আজ নেই। কিন্তু তার লাগানো বিষবৃক্ষ বিএনপি রয়েছে। সব খুনিদের ঠিকানা, আস্তানা, ঘাঁটি হচ্ছে বিএনপি।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল মালেক, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল, উপ-মহাপরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিভাগীয় কমিশনার মিয়া লোকমান হোসেন, ভাস্কর্য প্রকল্প পরিচালক জাকির হোসেন, বেতারের খুলনা আঞ্চলিক পরিচালক মো. বশির উদ্দিন, আঞ্চলিক প্রকৌশলী বিভাংশু কুমার সাহা প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ বেতারের সহযোগিতায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে আট কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার টাকা ব্যয়ে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছে। ভাস্কর্যটির মূল নকশা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত শিল্পী লিটন পাল রনি। আর পরামর্শক ছিলেন ঢাবির চারুকলা অনুষদের সহকারী অধ্যাপক ড. মুকুল কুমার বাড়ৈ। খুলনা-যশোর লোয়ার রোডের নূর নগর এলাকায় ছয় ফুট ফাউন্ডেশনের ওপরে ১৫ ফুট দৈর্ঘ্যের ভাস্কর্যে ৭ মার্চের ভাষণের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যা জাতিকে স্মরণ করিয়ে দেবে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিকে। ভাস্কর্যের ফাউন্ডেশনের বাম দিকে জাতীয় চার নেতা ও ডান দিকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের প্রতিচ্ছবি প্রস্ফুটিত হয়েছে নান্দনিকভাবে। সমগ্র ভাস্কর্যটির ব্যাকগ্রাউন্ডে রয়েছে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের
ঐতিহাসিক ভাষণকালের শৈল্পিক নিদর্শন।

এছাড়াও বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে আরও চারটি ছোট আকৃতির ভাস্কর্য। যেগুলোতে জাতির পিতার ঐতিহাসিক সব মুহূর্ত ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যা অতীতকে স্মরণ করিয়ে দেবে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে। ভেতরের ছোট ভাস্কর্যের একটিতে সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর প্রথম স্বাক্ষর করার দৃশ্য, দ্বিতীয়টিতে ১৯৭৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেওয়ার ঐতিহাসিক মুহূর্ত, তৃতীয়টিতে ছয়দফা ঘোষণাকালীন চিত্র এবং চতুর্থটিতে ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নবনির্বাচিত এমএনএ এবং এমপিদের সমাবেশে স্বাধীকার আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করার দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর