করোনায় কৃষি শ্রমিক নেই, ধান কাটছেন এমপি তৌফিক

ঢাকা, জাতীয়

ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 08:35:53

কৃষি প্রধান হাওরাঞ্চলে এখন ধান কাটার মৌসুম। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে লকডাউন চলায় অন্য জেলা থেকে আসতে পারছেন না কৃষি শ্রমিকেরা। কৃৃষি শ্রমিকের স্বল্পতায় এলাকার সংসদ সদস্য, রাষ্ট্রপতির জেষ্ঠ্যপুত্র প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক ছাত্রলীগের কর্মী ও দলীয় সমর্থকদের নিয়ে ধান কাটতে মাঠে নেমেছেন।

বুধবার (৮ এপ্রিল) মিটামইন উপজেলার ঢাকি ইউনিয়নের মামুন মিয়ার ফসলের মাঠে ধান কাটার সূচনা করেন এমপি তৌফিক।

কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলীয় ইটনা, অষ্টগ্রাম, মিটামইন উপজেলার বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠে এখন পাকা ফসলের ছড়াছড়ি। তারই মাঝে সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে ধান কাটার এমনই অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।

অন্য সময় ধান কাটার মৌসুমে আশেপাশের জেলা-উপজেলা থেকে শত শত কৃষি মজুর আসার যে ঢল নামে তা বন্ধ থাকায় এমন বিকল্প ব্যবস্থা নিয়েছেন এমপি তৌফিক। করোনার ভয়ে বিহ্বল কৃষকগণ এতে ফসল রক্ষায় মনোবল ফিরে পেয়েছেন।

শত বিরূপতার মধ্যেও আমাদেরকে ফসল রক্ষা করতে হবে। বাঁচাতে হবে গ্রামীণ অর্থনীতিকে', বলেন এমপি তৌফিক। তিনি বলেন, 'আমাদেরকে নিজস্ব জনশক্তি নিয়েই নিজেদের মাঠের ফসল ঘরে তুলতে হবে। করোনার কারণে দূরত্ব বজায় রেখেই ধান কাটা হচ্ছে।'

বার্তা২৪.কম'কে টেলিফোনে এমপি তৌফিক বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় থেকেই আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করছি। মানুষকে সঙ্গরোধে সচেতন করার পাশাপাশি খাদ্য, ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ করছি।'

তিনি বলেন, 'এমন ঘোরতর করোনার বিপদের মধ্যে মাঠের ধান কাটার সময় এসেছে। বসে থেকে সময় নষ্ট করার মতো পরিস্থিতি এখানে নেই। দেরি করলে ফসল নষ্ট হবে। ফলে আমি ছাত্রলীগ ও দলীয় নেতাকর্মীদের আমার সাথে মাঠে নেমে ধান কাটার জন্য আহ্বান জানাই। সবাই তড়িৎ সারা দেওয়ায় আমরা কৃষকের মাঠের ধান ঘরে তুলে দিচ্ছি।'

বার্তা২৪.কমের এক প্রশ্নের উত্তরে এমপি তৌফিক বলেন, 'এখন শুধু করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেই হচ্ছে না। ফসলের মৌসুমে এলাকায় দাঙ্গা, হাঙ্গামা বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হচ্ছে। পাশাপাশি কৃষির উপর নির্ভরশীল হাওরের ফসল রক্ষা করে মঙ্গা ও দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে হচ্ছে।'

করোনা পরিস্থিতিতে ত্রিমুখী যুদ্ধে লিপ্ত এমপি তৌফিক বলেন, 'প্রত্যন্ত ও দুর্গম হাওরে যেকোন মূল্যে মহামারি ঠেকাতে হবে এবং কমিউনিটি পর্যায়ে সংক্রমণের হার বন্ধ রাখতে হবে। খাদ্যাভাব ও হাহাকার যাতে না হয়, সে ব্যবস্থাও নিতে হবে।'

'আমি নিজে খাদ্যশস্য বিতরণ পর্যবেক্ষণ করছি এবং কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি যাতে না হয়, সেজন্য কঠোর অবস্থান নিয়েছি। তাছাড়া করোনার পরিস্থিতিতে সুষ্ঠুভাবে বিধিনিয়ম পালন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্যেও প্রশাসনিকভাবে কঠোর পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে', জানান তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর