বরিশালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন যারা

বরিশাল, জাতীয়

কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 19:17:05

বরিশাল: বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে ১২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৫টি কেন্দ্রের ফলাফল ও ১টি ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এ জন্য ১০৭টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, ৩০ ওয়ার্ডের মধ্যে ৯টি ওয়ার্ডের ৯ জন সাধারণ ও ৬ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরের বেসরকারিভাবে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার কার্যক্রম আটকে গেছে। তবে এর বাইরে ২১টি ওয়ার্ডের ২১ জন সাধারণ ও সংরক্ষিত ৪টি ওয়ার্ডে ৪ জন কাউন্সিলরের বিজয়ী হওয়ার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও এরমধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডে আগে থেকেই তিনজন এবং সংরক্ষিত আসনে একজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

বিজয়ীদের মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪ জন আওয়ামী লীগ দলীয়, ৩ জন বিএনপির, ১ জন জাতীয় পার্টি ও ৪ জন স্বতন্ত্রপ্রার্থী রয়েছেন।

অপরদিকে সংরক্ষিত ৪ জন কাউন্সিলরদের মধ্যে ১ জন আওয়ামী লীগের, ১ জন বিএনপির, ১ জন স্বতন্ত্র ও ১ জন সদ্য বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানকারী নারী নেত্রী রয়েছেন।

সাধারণ ওয়ার্ডে বিজয়ী কাউন্সিলররা হলেন- ২ নম্বর ওয়ার্ডে অ্যাডভোকেট এ.কে. এম মুরতজা আবেদীন (জাপা), ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দ হাবিবুর রহমান ফারুক (স্বতন্ত্র), ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৌহিদুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মো. কেফায়েত হোসেন রনি (স্বতন্ত্র), ৬ নম্বর ওয়ার্ডে খান মোহাম্মদ জামাল হোসেন (স্বতন্ত্র), ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মো. রফিকুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মো. সেলিম হাওলাদার (বিএনপি), ৯ নম্বর ওয়ার্ডে হারুন অর রসিদ (বিএনপি), ১০ নম্বর ওয়ার্ডে এ টি এম শহিদুল্লাহ (স্বতন্ত্র), ১১ নম্বর ওয়ার্ডে মজিবর রহমান (আওয়ামী লীগ), ১২ নম্বর ওয়ার্ডে জাকির হোসেন (আওয়ামী লীগ), ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে মো. মেহেদী পারভেজ খান (আওয়ামী লীগ), ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিয়াকত হোসেন খান (আওয়ামী লীগ), ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় মো. মোশারফ আলী খান বাদশা (আওয়ামী লীগ), ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে মীর এ কে এম জাহিদুল কবির (বিএনপি), ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় গাজী নঈমুল হোসেন লিটু (আওয়ামী লীগ), ২১ নম্বর ওয়ার্ডে শেখ সাঈদ আহমেদ (আওয়ামী লীগ), ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে মো. হুমায়ুন কবীর (আওয়ামী লীগ), ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (আওয়ামী লীগ), ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ফরিদ আহমেদ (আওয়ামী লীগ) ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে আজাদ হোসেন মোল্লা কালাম (আওয়ামী লীগ)।

এর বাইরে ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়া ১ নম্বর ওয়ার্ডে ৫টির মধ্যে ৪টি কেন্দ্রের ফলাফলে এগিয়ে রয়েছেন মো. আমির হোসেন বিশ্বাস (আওয়ামী লীগ)।

এদিকে ১৫টি কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত হওয়ায় ৮টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যায়নি।

তবে ওই সকল ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হওয়া কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৌহিদুর রহমান (আওয়ামী লীগ), ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আকতার উজ্জামান গাজী হিরু (আওয়ামী লীগ), ২০ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়াউর রহমান (স্বতন্ত্র), ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর এনামুল হক (বাহার), ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের শরীফ মো. আনিছুর রহমান (আওয়ামী লীগ), ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের এম সাইদুর রহমান জাকির (আওয়ামী লীগ) ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. নুরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র) এগিয়ে রয়েছেন।

কিন্তু ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ৪টি কেন্দ্রেরই ফলাফল স্থগিত হওয়ায় সেখানকার কোনো তথ্যই রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে ১ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ায় ৪টি কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে। প্রদত্ত ফলাফল অনুযায়ী এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী (বই প্রতীক) মিনু রহমান।

এর বাইরে ফলাফল স্থগিত হওয়ায় ৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যায়নি।

তবে ওই সকল ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হওয়া কেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইসরাত জাহান (স্বতন্ত্র), ৬ নম্বর ওয়ার্ডে গায়েত্রী সরকার (আওয়ামী লীগ), ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সালমা আক্তার শিলা (আওয়ামী লীগ), ৮ নম্বর ওয়ার্ডে রেশমী বেগম (আওয়ামী লীগ), ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ডালিম বেগম (আওয়ামী লীগ) এগিয়ে রয়েছেন।

ইতোমধ্যে বিজয়ী হয়েছেন ২ নম্বর ওয়ার্ডে জাহানারা বেগম (স্বতন্ত্র), ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কোহিনুর বেগম (আওয়ামী লীগ), ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আয়শা তৌহিদ লুনা (সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী) ও ১০ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে রাশিদা পারভীন (বিএনপি)।

বরিশালের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান জানান, ফল স্থগিত থাকা ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা এবং স্থগিত কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠনো হবে। সেখান থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্তের পর নির্ভর করবে কাউন্সিলর প্রার্থীদের ফল।

এ সম্পর্কিত আরও খবর