রাস্তা খেকো চেয়ারম্যান আনিসুল!

, জাতীয়

কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 06:48:40

নড়াইল: নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম আনিসুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ লুটপাটের অভিযোগ করেছে তার নিজ পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা। বিভিন্ন রাস্তা নির্মাণ না করে সেই অর্থ খেয়ে ফেলায় এখন তাকে ‘রাস্তা খেকো, চেয়ারম্যান বলে ডাকা হয়।

এ ব্যাপারে ওই ইউনিয়নের ৯ জন সদস্য গত ২ জুলাই জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম আনিসুল ইসলাম সরকারের বিভিন্ন প্রকার উন্নয়ন কাজ না করেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে এলজিএসপি, টিআর, কাবিখা, বয়স্কভাতা, বিধবাভাতাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ।

ইউপি সদস্যরা জানায়, ইউনিয়ন সচিবের যোগসাজশে চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পাঁচ লাখ টাকার প্রকল্প হিসাবে বিছালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আড়পাড়া মফিজের বাড়ি হতে মিসকাতের বাড়ি অভিমুখে রাস্তায় ইটের ফ্লাট সলিং নির্মাণ কাজ করা হয়েছে বলে ইউনিয়ন পরিষদের কাজের তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ এ রাস্তার কাজ অন্য প্রকল্পের মাধ্যমে জেলা পরিষদ শেষ করেছে।

একই ভাবে ২নং ওয়ার্ডের মির্জাপুর তপন বাবুর বাড়ি থেকে অনিমেষের বাড়ি এলাকার রাস্তায়, ৪নং ওয়ার্ডের চাকই আজিবর মল্লিকের বাড়ি থেকে হালিম মল্লিকের বাড়ি এলাকার রাস্তায় ইটের ফ্লাট সলিং নির্মাণসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তা জেলা পরিষদ টেন্ডারের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। অথচ চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে এসব রাস্তার কাজ সম্পন্ন দেখিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ আজিম জানান, মির্জাপুর তপন বাবুর বাড়ি থেকে অনিমেষের বাড়ি এলাকার রাস্তা জেলা পরিষদ করেছে। তার ওয়ার্ডে ইউনিয়ন থেকে কোনো কাজ হয় নাই।

একই ভাবে ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মজুর আকন, ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ওয়ার্ডে ইউনিয়ন থেকে নয় সব রাস্তা জেলা পরিষদ করেছে।’

অভিযুক্ত বিছালী ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা ঠিক নয়। রাস্তাগুলো আমি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে করেছি।’

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক মো. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর