প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেছেন, দারিদ্র্য নিরসন এসডিজি বাস্তবায়নের একটি বড় লক্ষ্যমাত্রা। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ছিলো প্রায় ৪৪ ভাগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সেই দারিদ্র্যের হার এখন কমে ২০ ভাগের নিচে নেমে এসেছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি ২০১৮-২০১৯’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. গওহর রিজভী বলেন, বাংলাদেশের কৃষির অভূতপূর্ব সাফল্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। বর্তমানে দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করাসহ খাদ্য সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের নানা বিষয় নিয়ে আমাদের গবেষকদের আরও গবেষণা করতে হবে।
বাকৃবি রিসার্স সিস্টেম (বাউরেস) এর আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে দুইদিন ব্যাপী এ কর্মশালায় পোস্টার প্রদর্শনী ও গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন শুরু হয়েছে।
‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষিবিষয়ক গবেষণার রুপান্তর’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্স সিস্টেম (বাউরেস) এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খানের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ জসিমউদ্দিন খান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ বখতিয়ার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমীন বারি। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার মার্দাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রিচার্ড বেল, স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাউরেস'র সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক।
কর্মশালায় গবেষণা মূল্যায়নের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড এইচ-ইনডেক্সের ওপর ভিত্তি করে ১৫ শিক্ষককে ‘গ্লোবাল রিসার্চ ইমপ্যাক্ট রিকোগনাইজেশন অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। কৃষিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য খামার পর্যায়ের ৩ জন কৃষককে ‘প্রফেসর ড. আশরাফ আলী খান স্মৃতি পুরস্কার-২০২০’ তুলে দেওয়া হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন ভেন্যুতে দুই দিনে ১৫টি প্যারালাল টেকনিক্যাল সেশনে মোট ৩২৪ টি মৌখিক ও ২১২ টি পোস্টার সেশন অনুষ্ঠিত হবে। টেকনিক্যাল কমিটির মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রতিটি সেশন থেকে মোট ৬ জনকে ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হবে।