নির্বাচনে ‘বিজয়’ দেখছেন বদর উদ্দিন কামরান

, জাতীয়

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম | 2024-01-02 20:22:33

সিলেট থেকে: দলে বিভেদ নেই। যারা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন তারাও নিজেদের মধ্যে কোন্দলে জড়িয়ে পড়েছেন। এই হিসেবে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বেশ ফুরফুরে রয়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পৌর নির্বাচন থেকেই লড়ছেন তিনি। নির্বাচন ও জয়; শব্দ দু‘টি কামরানের সঙ্গেই যায়। তবে দীর্ঘদিনের নির্বাচনী অভিজ্ঞতায় পরাজয়ের রেকর্ড কেবল একবারই-তা হল ২০১৩ সালের সিলেট সিটিতে আরিফুল হকের কাছে ধরাশয়ী হওয়া।

মেয়র কামরান তার জীবনে প্রথম সেই পরাজয়ের কারণ হিসেবে প্রস্তুতির ঘাটতিকেই দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘গতবার হঠাৎ করে ইলেকশন চলে আসায় ঠিকমতো প্রস্তুতি নিতে পারিনি।’

সিলেট ঘুরে দেখা গেছে, মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের সমর্থনে ব্যাপক প্রচারণা চলছে পাড়া মহল্লায়।

এদিকে কামরানের সর্মথক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগও করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। জানা যায়, তার সমর্থকরা বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর চড়াও হচ্ছেন। কোথাও কোথা পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনাও দেখা যাচ্ছে।

তবে এ নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীরা একাধিকবার এক মঞ্চে বসে হাতে হাত রেখেছেন; সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার করে। সবাই চাচ্ছেন, সিলেট সিটি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হোক।

অন্য মেয়র প্রার্থীরা গাজীপুর ও খুলনার মতো নির্বাচন চান না -জানিয়ে ইতোমধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বদর উদ্দিন আহমদ কামরানও বলছেন, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সিলেটবাসী চান।

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে তিনজন প্রার্থী নিয়ে আলোচনা বেশি চলছে। এই তিনজনের মধ্যে মূলত ভোট ভাগাভাগি হবে। তাদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে সুবিধায় থাকছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী কামরান। আরিফুল হকের ভোট যেখানে তিনভাগ হবে সেখানে কোন ভাগ ছাড়াই ভোট ঘরে তুলবেন বদরউদ্দিন আহমদ কামরান।

আরিফুল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেছেন এটা আওয়ামী লীগ সরকারের অবদান উল্লেখ করে বদরউদ্দিন আহমদ নিজেকে জনতার ঘনিষ্ঠ ও গণমানুষের নেতা দাবি করছেন। তিনি বলছেন, জনগণের ভোটে তিনিই নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।

তার সমর্থনে এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা সিলেটে মুখী হয়েছেন। তাদের আগমনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা জোর প্রচারণায় যুক্ত হচ্ছেন।

 

বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের সিলেট মহানগরের সভাপতি ফয়সল খাঁন বলেন, ‘নৌকার প্রাথী একজন তিনি কামরান। সারা দেশে বর্তমান সরকার যে উন্নয়ন করেছে তার ধারাবাহিকতা রাখতে সিলেটে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জয় নিশ্চিত প্রয়োজন। এমনকি আওয়ামী লীগ থেকে যারা মেয়র প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন কিন্তু মনোনয়ন পাননি তারাও কামরানের পক্ষে নিবেদিত হয়ে কাজ করছেন।’

বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের স্ত্রী আসমা কামরান বলেন, নৌকার বিজয় আনতে সিলেট আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। ছাত্রলীগ থেকে যুব মহিলালীগ সবাই মাঠে।

তিনি নিজেও প্রতিদিন নগরীর বিভিন্ন প্রান্তে কামরানের সমর্থনে ছুটছেন- বলে জানান।

সবশেষে মেয়র কামরান নৌকা প্রতীককে আর্শীবাদ হিসেবে দেখছেন। তারা রাজনৈতিক জীবনে এই প্রথম নৌকা প্রতীক পেলেন। সেই ষাটের দশকে ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকলেও স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক পেতেন না। সে কারণে এবার নৌকার যে ভোট শক্তি আছে তা ৩০ জুলাই দেখাতে চান বদরউদ্দিন আহমেদ কামরান।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর