রমেক বার্ন ইউনিটে চিকিৎসকদের অনুপস্থিতিতে দুর্ভোগে রোগীরা

রংপুর, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2023-08-28 16:27:15

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে সাতজন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও একজন চিকিৎসক ও কিছু শিক্ষানবিশদের দিয়ে চলছে বিভাগটি।

প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে রোগীরা চিকিৎসা নিতে এসে চিকিৎসক না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা নিয়মিত চিকিৎসকদের দেখা পাচ্ছেন না।  এতে দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, রমেক হাসপাতালের ৩৭নং ওয়ার্ডের পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের সেবা দেয়ার জন্য বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে নেই তেমন চিকিৎসক। কিছু শিক্ষানবিশ চিকিৎসক আর আয়াদের সামান্য সহানুভূতিই যেন রোগীদের সেবার ভরসা। তবে একজন চিকিৎসকের নাম ও চেহারাই রোগীদের চোখের সামনে ভেসে উঠে বারবার। কারণ এই বার্ন ইউনিটে দায়িত্বে থাকা অন্য চিকিৎসকদের দেখা নেই।

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ

সংশ্লিষ্ট ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, খাতা কলমে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের দায়িত্বে সাত চিকিৎসক থাকলেও শুধুমাত্র বিভাগীয় প্রধান এম. এ হামিদ পলাশকেই দেখা যায়।

বার্ন ইউনিটে কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজনের সঙ্গে কথা হয়। নাম না প্রকাশের শর্তে বার্তা২৪.কমকে তারা জানান, বার্ন ইউনিটে ভালো সেবা নেই। চিকিৎসক নেই। চিকিৎসাও ব্যয়বহুল। স্যালাইন ছাড়া হাসপাতাল থেকে আর কিছুই দেওয়া হয় না। তবে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা এসে মাঝে মধ্যে খোঁজখবর নিয়ে যান।

রোগীদের অভিযোগ স্যালাইন ছাড়া হাসপাতাল থেকে কিছুই দেওয়া হয় না

চলতি শীত মৌসুমে গত এক মাসে এই ইউনিটে এখন পর্যন্ত ৮ নারী ও দুই শিশুসহ ১৩ জন মারা গেছেন। এখনো চিকিৎসাধীন আছেন ২৫ জন। রোগীরা কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে দুর্ভোগ আর হতাশায় ভুগলেও এনিয়ে কথা বলতে নারাজ বিভাগটির প্রধান।

তবে শীত নিবারণে রোগীদের গরম কাপড় ব্যবহারসহ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বার্ন ইউনিট ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এম এ হামিদ পলাশ।

তিনি বলেন, আমরা রোগীদের সেবা দেয়ার জন্যই সবসময় কাজ করছি। প্রয়োজনীয় ওষুধ ছাড়া তাদের নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর