নড়াইল: স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে দায়েরকৃত মানহানি মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) দুপুরে নড়াইল আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদুল আজাদ এ আদেশ দেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন সিকদার এ আদেশের কথা জানিয়েছেন।
এর আগে গত ২৬ জুন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করা হলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদুল আজাদ জামিন শুনানির জন্য ২ জুলাই দিন ধার্য করেন। শুনানি শেষে বিচারক আজ মঙ্গলবার আদেশের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইলের নড়াগাতি থানার চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম বাদী হয়ে খালেদা জিয়ার নামে মানহানির মামলা দায়ের করেন। নড়াইল সদর আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট ওই মামলায় খালেদা জিয়াকে স্বশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। নির্ধারিত সময়ে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর আগে ওই বছরের ২৫ জুলাই খালেদার বিরুদ্ধে সমন জারি করেন একই আদালত।
মামলার বিবরণে আরও জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বির্তক আছে বলে মন্তব্য করেন। এছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি।’ তার এই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচার হয়।
মামলার বাদী নড়াইলের চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে বসে এ খবরটি পড়ে মারাত্মক ভাবে ক্ষুব্ধ হন। পরে রায়হান ফারুকী বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন।