শেষ বিদায়েও পরনে ছিলো প্রিয় দলের জার্সি। প্রিয় দল নিয়ে মাতামাতির-ও শেষ ছিলো না তার। খেলা শুরুর আগে সগর্বে বলেছিলেন,আজ তার প্রিয় দল জিতবেই। কিন্তু প্রিয় দল জিততে পারেনি। বরং বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ায় অভিমান আর কষ্টে জীবনকেই উৎসর্গ করলেন ধামরাইয়ের সুজন সরকার ওরফে গণেশ (২৩)।
গণেষ ধামরাই থানার সাইট্রা গ্রামের নারায়ণ সরকারের ছেলে।
সে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন (ব্ল্যাড ব্যাংকের) প্যাথলজি এসিসটেষ্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
শনিবার গভীর রাতে নিজ বাড়িতে গলায় মায়ের শাড়ি পেঁচিয়ে আত্নহত্যা করে সে।
নিহতের ভাই এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের টেকনোলজিস্ট কার্তিক চন্দ্র সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,ভাই খেলা শেষে অত্যন্ত মর্মাহত ছিলেন। তবে তিনি যে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবেন তা কল্পনাও করতে পারি নি।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ রিজাউল হক দীপু জানান,বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার স্পর্শকাতরতা বিবেচনায় আমরা সুজনের বাড়িতে পুলিশ পাঠাই। সেখানে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, সে আর্জেন্টিনার পরাজয়ের শোক সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে।
এদিকে এ ব্যাপারে ওসি নিজেই তার ফেসবুক পেইজে সুজনের ছবি দিয়ে আর্জেন্টিনার পরাজয়ে তার আত্নহত্যার বিষয়ে একটি পোষ্ট দেন।
যেখানে "প্রিয় দলের জন্য স্বেচ্ছায় আত্মহনন" শিরোনামে তিনি লেখেন, প্রিয় দল আর্জেন্টিনা বিশ্ব কাপ আসর থেকে বিদায় নেওয়ায়, এই ভক্ত সিদ্ধান্ত নেন তিনিও পৃথিবীর থেকে বিদায় নেবেন তাই তিনি বীরের বেশে মায়ের শাড়ী পেচিয়ে, মাত্রা দেড় মাস আগে বিবাহিত নববধূ কে টাটা বাইবাই জানিয়ে আত্মহত্যা করেন এই বীর।
ওসি আরও লেখেন, সকল অভিভাবকদের সতর্ক হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো। ব্রাজিলের জন্য কোন বীর যেন আত্মহত্যা না করে।