প্রচণ্ড তাপদাহে বাড়ছে ডাবের চাহিদা

, জাতীয়

নড়াইল প্রতিনিধি, বার্তা২৪.কম | 2023-08-21 10:53:46

নড়াইল: নড়াইলে প্রচণ্ড তাপদাহে বাড়ছে ডাবের চাহিদা। প্রতিদিন জেলার অভ্যন্তরে কমপক্ষে দশ হাজার ডাব বিক্রি হচ্ছে। আর এ পেশার সাথে কমপক্ষে তিন শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সংশ্লিষ্ট রয়েছে। প্রতিদিন জেলায় প্রায় তিন লাখ টাকার ডাব বিক্রি হয় বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, জেলার কোথাও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ডাবের চাষ হয় না। মূলত বসত বাড়ি, পতিত জমি, উঁচু জমি, ঘেরের পাড়সহ বিভিন্ন জমিতে লাগানো গাছ থেকে উৎপাদিত ডাবই স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে থাকে।

ব্যবসায়ীরা জানায়, গাছ থেকে সংগ্রহ করা ডাব তিনটি গ্রেডে ভাগ করা হয়। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা স্থানীয়দের কাছ থেকে আকার ভেদে এই ডাব ১০ থেকে ১৫ টাকায় ক্রয় করে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা প্রতিটি ডাব ২৫ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি করে থাকে।

ডাব গাছের মালিক তাজু মিয়া জানান, তার বসত বাড়িতে ৩২টি নারিকেল গাছ আছে। প্রতিটা গাছ থেকে বছরে ৫০ থেকে ২০০টি ডাব বিক্রি করেন তিনি।

আক্ষেপের সাথে তিনি জানান, তাদের কাছ থেকে যে দামে ডাব ক্রয় করা হয় তার থেকে তিনগুণ বেশি দামে ব্যবসায়ীরা ডাব বিক্রি করেন।

ডাব গাছের মালিক আব্দুর রহমান জানান, তার ঘেরের পাড়ে শতাধিক নারিকেল গাছ রয়েছে। এই গাছ থেকে তিনি প্রতি বছর লক্ষাধিক টাকার ডাব বাড়ি থেকেই নগদ টাকায় বিক্রি করেন।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আসলাম জানান, প্রতিদিন এলাকাতে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন বাড়ির গাছ থেকে ডাব কেনেন এবং নিজেরাই সেই ডাব গাছ থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে এসে বিক্রি করেন। প্রতিদিন ৮শ থেকে এক হাজার টাকা লাভ হয় এখান থেকে।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম জানান, তার মতো প্রতিটি ব্যবসায়ী দিনে ৮০ থেকে ১৫০টি পর্যন্ত ডাব বিক্রয় করেন। আকার ভেদে প্রতিটি ডাব ২০-৩০ টাকা দরে বিক্রি করে থাকেন।

ডাব ক্রেতা আলমগীর হোসেন জানান, প্রচণ্ড গরমে ডাবের পানি পান করলে শরীরের অনেক উপকার হয়।

ডাব ক্রেতা রফিক জানান, ডাবের পানি গরমের সময় খেতে ভালো লাগে। তবে ডাবের আকার ছোট হলেও মূল্য বেশি।

সিভিল সার্জন মুন্সি আসাদুজ্জামান দীপু জানান, ডাবে প্রচুর পটাসিয়াম থাকে। এছাড়া ডাবের পানির অসংখ্য গুনাগুন রয়েছে। যা মানুষের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। শিশুসহ সকল মানুষের পরিমাণ মতো ডাবের পানি পান করা উচিত।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক চিন্ময় রায় জানান, আগে থেকেই জেলায় প্রচুর নারিকেল গাছ রয়েছে। এই জেলায় নারিকেলের ফলন খুব ভালো। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়াসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে। নারিকেল গাছের উপর তাদের আলাদা প্রোগ্রাম রয়েছে। প্রতিবছরই কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ও স্বল্পমূল্যে উন্নত জাতের নারিকেল চারা বিতরণ করা হয়ে থাকে বলেও জানান এই কৃষিবিদ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর