ধর্ষণের অভিযোগে পল্টন থানার ওসি সাময়িক বরখাস্ত

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-30 08:07:16

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পল্টন মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহমুদুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে পুলিশ সদর দফতর।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান।

তিনি বলেন, 'মাহমুদুল হকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার দাখিলকৃত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ডিএমপির হেডকোয়ার্টার্সের এক কার্যালয় আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তকালীন তিনি ডিএমপির কেন্দ্রীয় সংরক্ষণ দফতরে সংযুক্ত থাকবেন।'

মাসুদুর রহমান বলেন, 'এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের কারণে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয়। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।'

উল্লেখ্য, গত ১ আগস্ট পুলিশ সদর দফতরে আইজিপি বরাবর এক নারী মাহমুদুল হকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ওসি মাহমুদুল ওই নারীকে ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর চাকরি দেওয়ার কথা বলে ঢাকায় আনেন। ওই নারী ঢাকায় আসার পর ওসি মাহমুদুল তাকে পল্টনের ক্যাপিটাল হোটেলের একটি রুমে নিয়ে যান। হোটেলে তাকে খাবারের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে খাওয়ান। এরপর ওই নারীকে অচেতন করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরে ওই নারীর জ্ঞান ফেরার পর তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেন। এ সময় ওসি ওই নারীকে বলেন, তিনি তাকে ভালোবাসেন। তাকে বিয়ে করতে চান। এভাবে ওই নারীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

অভিযোগে আরও বলা হয়, বিয়ের কথা বলে পরে ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন ওসি। গত বছরের ২০ অক্টোবর ওই নারী বুঝতে পারেন, তিনি অন্তঃসত্ত্বা। এ সময় ভুক্তভোগী বিষয়টি মাহমুদুলকে জানালে তিনি গর্ভপাত করতে বাধ্য করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়াও হয়। পরে ওই নারী বারবার বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে ওসি মাহমুদুল একপর্যায়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।

উপায় না পেয়ে ওই নারী ওসির অফিসে যান এমনকি ওসির বাবার কাছে গিয়ে বিষয়টি জানান। এরপরও বিষয়টির সমাধান না হওয়ায় গত ১২ এপ্রিল ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর