‘গ্রেনেড হামলায় খালেদার সম্পৃক্ততা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না’

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-27 16:01:03

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২১ আগস্টে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে এটি প্রমাণিত সত্য। সে সময় খালেদা জিয়া কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। আর বাবর ছিলেন সেই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী। এজন্য খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা থাকার কথা কেউ অস্বীকার করতে পারে না।

বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত ও আহতদের স্মরণে আয়োজিত সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই হামলাটি ওই সময়ের সরকারের পক্ষ থেকে করা। কেননা এই ঘটনার পরের দিন সিটি করপোরেশনের গাড়ি এনে ওই এলাকাটা ধোয়ামোছা শুরু করে। আমি সঙ্গে সঙ্গে নানককে ফোন করে বলি যে, তোমরা শিগগিরই ব্যবস্থা নাও। সব আলামত মুছে ফেলছে, আলামত যেন রক্ষা হয় তার ব্যবস্থা করো। এরপর ঘটনাস্থলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছুটে যান, যুবলীগের নেতাকর্মীরা ছুটে যান।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরাই আলামত রক্ষা করার চেষ্টা করি। কিন্তু আলামত রক্ষায় সরকারের পক্ষ থেকে কোনো তৎপরতা ছিল না। সেখানে এত বড় একটা এক্সিডেন্ট হয়ে গেছে। তার মানে, এই ঘটনার যেন কোনো আলামত না থাকে, সেই চেষ্টাটাই কিন্তু করা হয়েছিল। জনমতের চাপে হাইকোর্টের একজন বিচারপতিকে দিয়ে একটা তদন্ত কমিটি করা হয়। সেই তদন্ত কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছিল তা ছিল তাদের ফরমায়েশি রিপোর্ট।  সেখানে একটা সাধারণ মানুষ ধরে নিয়ে এসে তাকে আসামি করা হয়। সে নাকি এই আক্রমণের ব্যবস্থা করেছিল, সে নাকি এই ষড়যন্ত্রের হোতা। তা নিয়ে জজ মিয়া নাটক সাজানো হয়। এখন তো আস্তে আস্তে সবই বের হচ্ছে, কীভাবে এই জজ মিয়াকে নিয়ে আসে, কীভাবে তার ওপর টর্চার করে তাকে দিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করে। কিন্তু সে তো সাধারণ মানুষ সে কিভাবে গ্রেনেড সংগ্রহ করবে।’

বিএনপি-জামায়াত সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এ ধরণের গ্রেনেড হামলা সম্ভব না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এই ধরনের ঘটনা কোনদিন ঘটা সম্ভব না। এটা আজকে প্রমাণিত সত্য। মামলা করে এতদিন পরও আমরা একটা রায়ও পেয়েছি। এখন উচ্চ আদালতে একটা ডেথ রেফারেন্স যাবে। আমি আশা করি এর বিচার হবে। কিন্তু যাদের আমরা হারিয়েছি তাদের তো ফেরত পাব না।’

তিনি বলেন, ‘কোথাও কোনো ঘটনা ঘটলে, পুলিশের দায়িত্ব থাকে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করা। কিন্তু ২১ আগস্টের ঘটনায় ঘটে উল্টো ঘটনা। কিভাবে অপরাধীরা বের হতে পারে সে ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। এমনকি ওই ঘটনার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজে বিএনপি পন্থী কোনো ডাক্তার চিকিৎসা দেয়নি। তারা সব চলে গিয়েছিলো। পরবর্তীতে দলীয় কর্মীদের বিদেশে চিকিৎসা করানো হয়। এখনও অনেকেই সেই যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছেন। ’

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর