সচেতনতা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থায় কমবে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব

ঢাকা, জাতীয়

সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-28 08:22:36

‘পরিচ্ছন্ন ও সচেতন থাকি, ডেঙ্গুমুক্ত দেশ গড়ি’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে ডেঙ্গু সম্পর্কিত এক গবেষণায় কার্যকরী পদক্ষেপ, সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাই ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব কমাতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার (১৯ আগস্ট) সকালে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে এই প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। গবেষণাটি ডক্টর ওয়াজেদ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটি, স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ, অস্ট্রেলিয়ার যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

ঢাকা শহরের উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কিছু সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল থেকে আক্রান্ত রোগীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করার মাধ্যমে এ গবেষণাটি সম্পাদন করা হয়েছে।

গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, কোন এডিস মশা ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে কোন সুস্থ মানুষকে কামড় দেওয়ার মাধ্যমে ডেঙ্গুর বিস্তার হয়ে থাকে। পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড় দেওয়ার মাধ্যমে সাধারণ এডিস মশাও আক্রান্ত হতে পারে। বাংলাদেশে অন্যান্য বছরের তুলনায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

গবেষণায় উঠে এসেছে, পর্যবেক্ষণকৃত হাসপাতালগুলোর ওয়াশরুম ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয় না বলে অনেক রোগী অভিযোগ করেছেন। বছরব্যাপী মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি না থাকার কারণে এ রোগ সম্পর্কে মানুষ আশানুরূপ সচেতন ছিলেন না। ঢাকা শহরে বিভিন্ন মেগা-প্রকল্প চলমান ও নিয়মিত ময়লা আবর্জনা পরিস্কার না করা এবং সড়কের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে ধীরগতির কারণে ডেঙ্গু রোগের বিস্তার ও মশার উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে।

অনেকে মশক নিধন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সিটি করপোরেশনের ছিটানো ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আবার অনেকে ডেঙ্গু রোগ বিস্তারের জন্য সিটি কর্পোরেশন-এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবহেলাকে দায়ী করেছেন। অনেকে প্রশাসনিক পদক্ষেপকে যথেষ্ট নয় বলে মনে করেছেন।

গবেষকরা জানান, বর্তমানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ডেঙ্গু রোগের বিস্তার রোধে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করছেন, যা ইতিবাচক ও প্রশংসনীয়। প্রশাসন ও সরকার দীর্ঘমেয়াদী মশক নিধন কার্যক্রম গ্রহণ করলে এ রোগ প্রতিরোধ ও এডিস মশার বিস্তার কমবে বলে গবেষণায় পরিলক্ষিত হয়েছে।

এ গবেষণায় কাজ করেছেন- প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, পরিচালক, ডক্টর ওয়াজেদ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর, ডক্টর তানভীর আবির, গবেষণা সহযোগী , স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ, ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়া।

এ সম্পর্কিত আরও খবর