ঈদের পর ক্রেতাশূন্য কাঁচা বাজার, কমেছে সবজির দাম

ঢাকা, জাতীয়

তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-31 21:33:26

রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কাওরান বাজার, ঈদের পঞ্চম দিন পেরিয়ে গেলেও নেই মানুষের তেমন ভিড়। বাজারে ক্রেতার সংখ্যা হাতেগোনা। তাই ক্রেতা-বিক্রেতাদের চিরচেনা সেই হাঁকডাক লক্ষ করা যায়নি। ফলে ক্রেতাশূন্য বাজারে কমেছে সবজির দাম।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, সকল ধরনের সবজির দাম কমেছে। তবে বাজারে গরু ও মুরগির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। পাশাপাশি মাছের দামও তেমন বাড়েনি। তবে টমেটো, কাঁচা মরিচ ও শসার দাম বেড়েছে প্রায় কয়েক গুণ।

ঈদ পরবর্তী ছুটির দিনে কারওয়ান বাজার কেজিপ্রতি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, গাঁজর ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা পিস, লাউ ৬০ টাকা পিস, কাকরোল ৪০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, করোলা ৪০ টাকা, কচু ৬০ টাকা, ক্যাপসিকাম ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, বাজারে দাম বেড়ে হাইব্রিড শসা ৪০ টাকা ও দেশি শসা ৮০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, কাচা মরিচ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মোখলেস বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'সব ধরনের সবজির দাম এর মধ্যেই কমে গেছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দাম আরও কমবে। ঈদের পরে প্রথম শুক্রবারে ক্রেতা নেই বললেই চলে। তবে দু-একদিন পর থেকে রাজধানীতে মানুষ পুরোদমে ফিরতে শুরু করলে বাজার আবার জমে উঠবে।’

এদিকে, কারওয়ান বাজারের মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, অলস সময় পার করছেন মাংস ব্যবসায়ীরা, ক্রেতা নেই। ফার্মের মুরগি ১৩০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৪০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২০০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, গরুর মাংস ৫৫০ টাকা ও খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যাবসায়ীরা।

মাংস ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'সিটি করপোরেশনের বেঁধে দেওয়া দামে বিক্রি করছি মাংস। কোরবানির ঈদ হওয়ায় সাধারণ মানুষের মাংসের চাহিদা কিছুটা কম, ফলে আমাদের বেচাবিক্রিও নেই।’

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, ইলিশ মাছ ৭০০ থেকে এক হাজার টাকায়, চিংড়ি মাছ ৫৫০ টাকা, পাবদা মাছ ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৪০ টাকা, কাতলা মাছ ১৮০ টাকা, রুই মাছ ২৩০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছ ব্যবসায়ী হাকিম আলি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ' ঈদের পরে মাছের দাম বাড়েনি। নদীতে পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া যাচ্ছে, ফলে মাছের সরবরাহ আছে, দামও কম। নদীতে মাছ কম পাওয়া গেলে স্বাভাবিকভাবেই দাম বেড়ে যাবে।’

বাজার করতে আসা সিরাজুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'সবজির দাম বেশ কমই মনে হলো, তবে কাঁচা মরিচের দাম এখনো কমেনি। মানুষজন এখনো ঢাকায় না ফেরার ফলে হয়তো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কিছুটা কম আছে। তবে মানুষজন বাড়লে ও চাহিদা বেড়ে গেলে দু-একদিন পরেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেবেন।’

বেসরকারি চাকরিজীবী জুবায়ের হাসান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'ফাঁকা বাজারে স্বস্তিতে বাজার করতে পেরে বেশ ভালই লাগছে। ভাবছিলাম ঈদের পরে হয়তো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কিছুটা বেশি হবে। তবে বাজার করতে এসে দাম কিছুটা কম দেখে ভালই লাগল।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর