বরিশালে বাড়ছে পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বরিশাল, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বরিশাল | 2023-08-31 10:44:50

সাগরের সৃষ্ট নিম্নচাপ আর বৈরী আবহাওয়ার কারণে বরিশালের স্থানীয় নদীগুলোতে পানি বাড়ছে। যা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে প্রায় ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। দেখা দিয়েছে নদীর দুই পাড়ে ভাঙন।

তবে আগামীকাল (৯ আগস্ট) থেকে পানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল ও ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকেল নাগাদ কীর্তনখোলাসহ ছয়টি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। আর বাকি নদীগুলোর পানি বাড়লেও এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। রাতে আরও পানি বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে নদীর কূলে বসবাসরত স্থানীয়রা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ঝালকাঠীর নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আতাউর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, সাগরের নিম্নচাপ আর পূর্ণিমার কারণে গত ৩ আগস্ট নদীর পানি কিছুটা বাড়লেও তা আবার নেমে যায়। কিন্তু বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে নদীর স্বাভাবিক জোয়ারের চাইতে প্রায় ১৫-২০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের সময় পানি থাকে ২ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার। যা এখন ২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার। তবে আগামীকাল থেকে আবার পানি স্বাভাবিক গতিতে চলে আসবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাইদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, সাগরে নিম্নচাপের প্রভাব আর উত্তরাঞ্চলের জমে থাকা পানি নেমে যেতে শুরু করেছে। এ জন্য দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় পানির চাপ একটু বাড়ছে। যা আগামীকাল নাগাদ কমতে শুরু করবে।

তিনি আরও জানান, বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের সময় ২ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার পানি থাকে। কিন্তু এখন তা ২ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার।

এদিকে বর্ষাকাল হওয়ায় বিভিন্ন নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এখন যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাবারও সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে পানি নেমে যাওয়ার সময় নদী ভাঙনের আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই নদী ভাঙন মোকাবিলায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সহকারী মো. আবু জাফর বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পাঠানো ৬ নম্বর বুলেটিনে বলা হয়েছে যে, মংলা, কক্সবাজার, সুন্দরবন ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, বরিশালের স্থানীয় নদী সমূহে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুট পানি বেড়েছে। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। দুই-এক দিনের মধ্যে বেড়ে যাওয়া পানি সাগরে নেমে গেলে আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর