আদালতে দাঁড়িয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ

খুলনা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, খুলনা | 2023-08-13 16:44:01

খুলনার জিআরপি (রেলওয়ে) থানায় এক নারীকে (২১) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। জিআরপি থানার ওসি ওসমান গনি পাঠানসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ওই নারী নিজেই আদালতে দাঁড়িয়ে এ অভিযোগ করেন।

সোমবার (৫ আগস্ট) আদালতের নির্দেশে ওই মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা করার কথা রয়েছে।

এর আগে রোববার (৪ আগস্ট) রাতে আদালতের নির্দেশেই উক্ত নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুমেক হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। তবে, সময় স্বল্পতার কারণে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

ওই নারীর দুলাভাই শাহাবুদ্দিন মাতুব্বর জানান, গত ২ আগস্ট শুক্রবার তার স্ত্রী’র ছোট বোন (শ্যালিকা) যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসেন। ট্রেন থেকে নামার পর রাত সাড়ে ৭টার দিকে খুলনা রেলস্টেশনের জিআরপি পুলিশের সদস্যরা তাকে সন্দেহজনকভাবে ধরে নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনি পাঠান প্রথমে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর আরও ৪ জন পুলিশ সদস্য পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন ৩ আগস্ট (শনিবার) ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয় তাকে।

তিনি আরও বল‌েন, ‘আদালতে বিচারকের সামনে নেয়ার পর তার শ্যালিকা জিআরপি থানায় তাকে গণধর্ষণের বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন। এরপর আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তার ডাক্তারি পরীক্ষার নির্দেশ দেন।’

এছাড়া, ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওসি ওসমান গনি মোটা অংকের টাকা দেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু সমঝোতায় রাজি না হওয়ায় তিনি হুমকি দিচ্ছেন বলেও ওই নারীর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন।

এদিকে ঘটনাটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন খুলনা জিআরপি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওসমান গনি পাঠান।

ওসি ওসমান গনি পাঠান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আদালতে ওই মহিলা যে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। গত ২ আগস্ট সন্ধ্যায় জিআরপি থানার মহিলা এসআই ও মহিলা কনস্টেবল ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ ওই মহিলাকে আটক করে। আর থানায় রাতে ৮ জন পাহারায় ছিল। সেখানে মহিলাকে ধর্ষণের কোনো সুযোগ নেই। ফেনসিডিলসহ আটক হওয়ার মামলা থেকে রেহাই পেতে মহিলা আদালতে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর