রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে সেজন্য আশিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সহযোগিতা কামনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার (২ আগস্ট) থাইল্যান্ডের ব্যাংককে আসিয়ানের ২৬তম আঞ্চলিক ফোরামে জোটের নেতাদের প্রতি সহায়তার এ আহ্বান জানান। থাইল্যান্ডের সভাপতিত্বে ফোরামে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, চীন ও ভারতসহ ২৬টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
ফোরামে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা যদি দীর্ঘ সময় অমীংসিত থাকে, তবে তা পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার চরমভাবে জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। উত্তর রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ও সেখানে তাদের জন্য বসবাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে আসিয়ানের ভূমিকা খুব জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় রোহিঙ্গাদের ভার নেওয়ার মতো অবস্থায় বাংলাদেশ নেই। এই সমস্যার সমাধানে বৈশ্বিক দায়িত্ব রয়েছে।’
ফোরামে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, নিউজিল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে মিয়ানমারে বসবাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানান। আসিয়ানভুক্ত অন্যান্য দেশগুলোকেও এই প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মালয়েশিয়া রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত নৃশংসতার বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের উপর গুরুত্বারোপ করে।
দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ, জলসীমায় বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশের অবনতি, মানব পাচার, মাদক চোরাচালান, সাইবার অপরাধ-এসব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য কোরিয় উপদ্বীপে শান্তিপূর্ণ পরিবেশের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
পরে কানাডা, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন আব্দুল মোমেন।