মেয়রদের অতিকথন বন্ধ করার আহ্বান

ঢাকা, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-19 15:13:03

মেয়রদের লোক দেখানো কাজ না করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও নগরবাসীর পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজপোর্টালের সম্পাদকরা।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের দুই মেয়রকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকরা বলেছেন, আপনাদের ফগার মেশিন নিয়ে মাঠে যেতে হবে না, সঠিক নির্দেশনা দেন। মানুষকে আশ্বস্ত করেন যে, আপনারা পাশে আছেন।

সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে গুলশান ক্লাবে ডিএনসিসি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন সম্পাদকরা।

ডেঙ্গু মোকাবেলা ও পরিচ্ছন্ন নগরী বিনির্মাণে সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ডেইলি সান সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, গাজী টিভির সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বণিকবার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, দৈনিক সমকালের নির্বাহী সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের সম্পাদক জুয়েল মাজহার, এবিনিউজ২৪.কমের সম্পাদক সুভাষ সিংহ রায় প্রমুখ।

ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, আপনাদের (মেয়রদের) দুর্বলতা থাকে সেটি স্বীকার করতে হবে। আপনাদের কথা কম বলে কাজ করতে হবে। আপনাদের কথাবর্তায় মানুষ যেন মনে করে আপনারা পাশে আছেন। আপনাদের আরও নমনীয় হতে হবে। আপনাদের দায়িত্ব নীতি নির্ধারণ বা জনসচেতনতামূলক প্রোগ্রামে। ফগার মেশিন নিয়ে মাঠে যেতে হবে না। আপনারা দুই মেয়র ১২০ কাউন্সিলরকে নির্দেশনা দেন তারা যেন প্রতিটি ওয়ার্ডে কাজ করেন। আপনাদের কাজে নগরবাসী যেন উপলদ্ধি করতে পারে আপনারা তাদের পাশে আছেন।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের নঈম নিজাম বলেন, আপনাদের লোক দেখানো কাজ বন্ধ করুন। ফগার মেশিন নিয়ে মশা মারা আপনাদের কাজ না। আপনারা সঠিক নির্দেশনা দিন। আমরা গণমাধ্যম আপনাদের সাথে আছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে একটা কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে। আপনাদের লোক দেখানো ওষুধ ছিটানোর দরকার নেই।

ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, আপনাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা লক্ষ্য করা যায়। স্বাস্থ্য অধিদফতর, পরিবেশ অধিদফতর ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। আপনারা পরিষ্কার করেন মশার ওষুধের বাস্তব অবস্থা কী, সেটা কি কাজ করছে? নাকি কার্যকারিতা নেই।

ডেঙ্গু রোগীর পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, গত পরশু ছিল ৬২৪ জন, গতকাল ৮৭০ জন। আজ গিয়ে ১ হাজারে দাঁড়াবে, আগামী এক সপ্তাহে রোগীর সংখ্যা কত দাঁড়াবে? সেই হিসেবে কি আছে? হাসপাতালে আর জায়গা নেই। হাসপাতালগুলো ব্যবসা শুরু করেছে। আপনারা নির্দেশনা দেন।

ইশতিয়াক রেজা বলেন, ডেঙ্গুতে এখন যতটা গুরুত্ব দিয়েছেন শুরু থেকে ততটা আগ্রহ ছিল না। আমাদের এখানে ব্যর্থতা আমলে নেওয়ার প্রবণতা নেই, এটা বড় সমস্যা। যে ধরনের বক্তব্য দেওয়া হয়েছে তা আমাদের আহত করে। আপনারা পাশের দেশের পরিসখ্যান দেবেন না। এটা দিলে মনে হয় আপনারা নগরবাসীর পাশে নেই। আর সবকিছু প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হয়, এটা দুঃখজনক।

এবিনিউজ২৪.কমের সম্পাদক সুভাষ সিংহ রায় বলেন, আপনাদের সমালোচনা শুনতে হবে। করণীয় ঠিক করতে হবে। নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর