৬ কি.মি. বাঁধ হলে ভাঙন থেকে বেঁচে যায় কালিহাতি

ঢাকা, জাতীয়

জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-15 17:16:58

টাঙ্গাইলের কালিহাতি থেকে: বন্যায় প্লাবিত কালিহাতির ১৫০টি গ্রাম। এই উপজেলার গরিলাবাড়ি থেকে ট্রলারে চেপে আফজালপুরে গিয়ে মেলেনি শুকনা মাটির অস্তিত্ব। সবই ডুবে আছে বন্যার জলে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানালেন, এই জনপদে কাউকে এখন সমাহিত করতে গেলে তারও উপায় নেই। কারণ, সামান্য শুকনা মাটিও পাওয়া যাবে না। পানিবন্দীর পাশাপাশি এ উপজেলায় আপদ হিসেবে যুক্ত হয়েছে নদী ভাঙন। অব্যাহত নদী ভাঙনে বদলে যাচ্ছে টাঙ্গাইলের কালিহাতির মানচিত্র।

নদী ভাঙন কেড়ে নিচ্ছে মানুষের জমি। নিঃস্ব করে নিচ্ছে এখানকার মানুষদের। যাদের ৫০০ বিঘা জমি ছিলো, তারাও এখন সব হারিয়ে নিঃস্ব। তাদের অনেকেই এখন চক্ষু লজ্জা ভুলে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন ত্রাণের জন্যে সারিতে।

তবে এই নদী ভাঙন রোধ করা সম্ভব- স্থানীয়দের দাবি। যদি যমুনার তীরে মাত্র ৬ কিলোমিটার বাঁধ দেয়া হয়, তাহলে বেঁচে যাবে কালিহাতি জনপদের মানুষ।

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের সাংসদ হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারীও বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে এমনটাই বলছিলেন।

হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী বলেন, অব্যাহত নদী ভাঙনে এ এলাকার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। যদি যুমনার তীরে বাঁধ দেওয়া যায় তাহলে কালিহাতি ভাঙন থেকে মুক্তি পাবে। মানুষের দুর্ভোগও কমে যাবে। 

কালিহাতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব নাথ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে ভৈরববাড়ী পর্যন্ত কালিহাতি অংশের ৬ কি:মি: বাঁধ দেয়া হলে বন্যা, নদী ভাঙনের অভিশাপ থেকে বেঁচে যাবে এই অঞ্চলের মানুষ।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, এ জেলাকে বন্যা ও নদী ভাঙন থেকে রক্ষা করার জন্যে ২৩৫ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে তখন আর এ সমস্যা থাকবে না।

এ সম্পর্কিত আরও খবর