কুকুরে কামড়ানোর দেশে পরিণত হয়েছে মিয়ানমার

ঢাকা, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-30 15:58:02

কুকুরে কমড়ানো রোগে আক্রান্তদের মধ্যে বিশ্বে অন্যতম শীর্ষ স্থানে রয়েছে মিয়ানমার। দেশটিতে প্রতিবছর প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ মানুষকে কুকুর কামড়ায়।

মিয়ানমারের স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ইউ মিন্ট সংবাদ মাধ্যমে এ তথ্য দিয়ে  বলেছেন, ১৫০ টিরও বেশি দেশের জলাতঙ্ক রোগের হিসেব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে মিয়ানমারে কুকুরে কামড়ানোর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিশ্বের মধ্যে মিয়ানমারে এ রোগের আক্রান্তের হার বেশ উপরে।

মিয়ানমারের স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ১৮ জুলাই দেশটির সংসদে জানান, কুকুর কামড়ের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। ২০১৭ সালে এক লাখ ৮০ হাজার মানুষকে কুকুর কামড়িয়েছিলো। ২০১৮ সালে তা বেড়ে এক লাখ ৯২ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে ৬০ হাজার মানুষকে কুকুরে কামড়েছে।

তবে, প্রতিবছর মিয়ানমার জলাতঙ্ক রোগের টিকা কিনছে। ফলে এ রোগে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার হ্রাস পাচ্ছে।

২০১১ সালে জলাতঙ্ক রোগে ১৪৫ জন মারা গিয়েছিল। সেখানে ২০১৮ সালে ৭১ এবং চলতি বছর ৪০ জন মারা গেছেন। জলাতঙ্ক রোগের জন্য ২০১৮-১৯ সালে ১৫ বিলিয়ন মিয়ানমার মুদ্রার ভ্যাকসিন কিনতে হয়েছে বলে তিনি জানান।

মিয়ানমারের স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন,  শুধুমাত্র ভ্যাকসিন কিনেই জলাতঙ্ক  নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না এবং মৃত্যুও কমাবে না। দেশবাপী  ছড়িয়ে পড়া কুকুরদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে।

জানা যায়, দেশটিতে ৬০ লাখ কুকুর রয়েছে। এরমধ্যে বেওয়ারিশ কুকুর ২০ লাখের বেশি। আর পোষা কুকুর রয়েছে ৪০ লাখ। মিয়ানমারে প্রতি ১০ জন ব্যক্তির জন্য একটা করে পোষা কুকুর রয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী  আরও বলেন, জরুরিভিত্তিতে কুকুরদের খোজা করা দরকার। কারণ কুকুর না কমলে এ সংকট বাড়তেই থাকবে। এ জন্য সরকারি সংস্থাগুলোর  সহযোগিতা এবং জনসাধারণের সচেতনতা প্রয়োজন।

কুকুর কামড়ালে মানুষকে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন মিয়ানমারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর