ঈদযাত্রায় চরম ভোগান্তির আশঙ্কা রেল ও সড়কে

ঢাকা, জাতীয়

তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-09-01 00:32:41

আসন্ন ঈদুল আযহা সামনে রেখে ট্রেন ও বাসের অগ্রিম টিকিট দেওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ঈদে তুলনামূলক ভোগান্তি কম হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিভিন্ন জেলায় দেখা দিয়েছে বন্যা।

এদিকে নদ নদীর পানি বাড়ায় ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে, দেখা দিচ্ছে যানজট। বিভিন্ন বন্যাদুর্গত এলাকায় পানির নিচে তলিয়ে গেছে রেললাইন। সাম্প্রতিক সময়ে রেল লাইনের নানা অব্যবস্থাপনায় আসন্ন ঈদযাত্রায় চরম ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রেলওয়ে ও সড়ক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিন রেল লাইনের সংস্কার না হওয়ার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে, ঘটছে দুর্ঘটনা। দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যায় পানিতে রাস্তা তলিয়ে গেছে। ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ঈদযাত্রায় ভোগান্তি বাড়বে।

বাংলাদেশের রেলওয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহাবুবুর জানিয়েছেন, জামালপুর, দেওয়ানগঞ্জ, রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম- এসব জেলার রেললাইন পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার ফলে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে সেসব রুটে ট্রেন চলাচলে পরিবর্তন নিয়ে আনা হয়েছে এবং কয়েকটি রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

পদ্মায় পানি বৃদ্ধির কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে তীব্র যানজট/ ফাইল ছবি

 

হানিফ পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার মোশারফ হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'কোরবানির ঈদে সাধারণত গাড়ির চাপ বেশি থাকে। ফলে যানজট বেশি হয়, মানুষের ভোগান্তি বাড়ে। তার কারণ হচ্ছে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষের চাপ যেমন থাকে, আবার ঢাকামুখি পশু বাহিত ট্রাকের সংখ্যা বাড়তে থাকে।’

‘এবার উত্তরাঞ্চলের অনেক জেলায় দেখা দিয়েছে বন্যা। যেসব এলাকায় বন্যার পানি উঠে সড়ক নষ্ট হয়েছে, সেগুলো ঈদের আগে দ্রুত সংস্কার করা না হলে, ঐসব রুটের যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পৌছাবে।’

বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মো:সালাউদ্দিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'নদীর পানি বাড়ার ফলে ফেরি পারাপার হয়ে একটা গাড়ি এখন ঢাকায় আসতে দুইদিন লাগছে, জ্যামে আটকে থাকছে। ঈদের আগে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যদি সহনশীল অবস্থায় না থাকে এবং এই দুর্যোগের ফলে ফেরিঘাটসহ যে সকল রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো সংস্কার করা না হয় ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ এবার লাগামহীন অবস্থায় পৌঁছাবে।’

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরি বার্তা টোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ’তলিয়ে যাওয়া রেললাইন ও সড়কপথ সংস্কার হতে সময় লাগতে পারে। এর ফলে হয়তো কর্তৃপক্ষ বিকল্প রুট ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু যাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় বেশি লাগবে। সড়কপথে কোরবানির পশুবাহী ঢাকামুখী গাড়ির চাপ বাড়বে।’

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ শামছুজ্জামান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'বন্যা কবলিত এলাকায় এরই মধ্যে পানি কমতে শুরু করেছে। পানি পুরোপুরি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে রেলওয়ে তলিয়ে যাওয়া রেললাইন সংস্কার কাজ শুরু করবে। এর ফলে ঈদে কোনো ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হবে না যাত্রীদের।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর