বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপরে যমুনার পানি

ঢাকা, জাতীয়

খন্দকার সুজন হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, মানিকগঞ্জ | 2023-08-27 18:12:21

বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরিচা পয়েন্টের যমুনা নদীর পানি। যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে তার প্রভাব পড়েছে পদ্মা নদীতেও। পানির বৃদ্ধির সঙ্গে পদ্মায় বেড়েছে প্রচণ্ড স্রোত। 

এতে করে উত্তাল পদ্মায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল। নৌরুটের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় পারের অপেক্ষায় রয়েছে চার শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও দুই শতাধিক বাস। তিন থেকে চার ঘণ্টার অপেক্ষায় বাসগুলো নৌরুট পারাপারের সুযোগ পেলেও দীর্ঘ ভোগান্তিতে পড়েছে ট্রাক চালকেরা।

পানি বৃদ্ধির সঙ্গে শুরু হয়েছে নদীতে ভাঙন 

 

এদিকে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়েছে জেলার দৌলতপুর, শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। ভাঙনের কবলে পড়েছে এসব এলাকার কমপক্ষে তিন শতাধিক পরিবার। এছাড়াও এরই মধ্যে যমুনার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে বিভিন্ন শাখা নদ নদীগুলোতে। যার ফলে বন্যার সম্ভাবনা আছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

  দৌলতপুর, শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে 

 

শনিবার ( ২০ জুলাই) ভোর ৬ টা পর্যন্ত যমুনা নদীর আরিচা পয়েন্টের পানি বিদপসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানির স্তর পরিমাপক ফারুক হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে এই তথ্য দেন।

নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামবাসীরা  

 

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের এজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে ১৫ টি ফেরি রয়েছে। তবে নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে সবগুলো ফেরি নিয়মিতভাবে চলাচল করতে পারছে না। অপরদিকে নৌরুট পারাপারে সময় লাগছে আগের চেয়ে দ্বিগুণ।

পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মালবাহী ট্রাক পারাপার হতে পারছে না 

 

যে কারণে নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ভোগান্তি শুরু হয়েছ। তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নৌরুটের বহরে বড় আরও কয়েকটি ফেরি যোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে করে কিছুটা হলেও নৌরুট পারাপারের ভোগান্তি লাঘব হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

মানিকগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক বাবুল মিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ভাঙন কবলিত মানুষের মধ্যে ৮ মেট্রিক টন চাউল দেওয়া হয়েছে।' এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও কয়েক টন চাল ও শুকনা খাবার বিতরণের ব্যবস্থা চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর