ভুটান থেকে ভারতীয় পণ্যবাহী জাহাজ নারায়ণগঞ্জে পৌঁছেছে

ঢাকা, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-21 19:58:36

প্রথমবারের মত পাথরবাহী একটি ভারতীয় জাহাজ ভুটান থেকে পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। গত ১২ জুলাই আসামের ধুবরি বন্দর থেকে রওনা দেয় পাথরবাহী জাহাজ এমভি এআই। ইন্দো-বাংলা প্রটোকল রুট ব্যবহার করে ১৬ জুলাই নারায়ণগঞ্জে এসে পৌঁছায় জাহাজটি। 

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) নারায়ণগঞ্জে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ইন্দো-বাংলা প্রটোকল রুট ব্যবহার করে আসা প্রথম চালানটি গ্রহণ করেন ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ ও ভুটানের রাষ্ট্রদূত সোনম টি. রাবগি।

ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। 

ভারতের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী শ্রী মনসুখ মাণ্ডব্য ১২ জুলাই ডিজিটালভাবে এমভি এএআই নামের ভারতের অভ্যন্তরীণ নৌ কর্তৃপক্ষের এই জাহাজটির যাত্রা সূচনা করেন। এরপর জাহাজটি আসামের ধুবরি থেকে যাত্রা করে এবং ব্রহ্মপুত্র নদীর উপর দিয়ে নারায়ণগঞ্জে পৌঁছায়। ২০১৮ সালের অক্টোবরে ধুবরিকে নদীবন্দর ঘোষণা করা হয়। এই প্রথমবারের মতো ভারতীয় নৌপথ ও ভারতকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে দুই দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহন করা হচ্ছে।

আসামের ধুবরি বন্দর থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে ভুটানের ফুয়েন্টশোলিং থেকে ট্রাকে করে পাথর আনা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ভুটান স্থলপথ ব্যবহার করে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পাথর রফতানি করে আসছে। জাহাজটি এক হাজার মেট্রিক টন পাথর পরিবহন করছে, যা স্থলপথে পরিবহন করতে ৫০টিরও বেশিট্রাক প্রয়োজন হতো।

নৌপরিবহন মন্ত্রী মাণ্ডব্য বলেন, এই উন্নয়ন ঐতিহাসিক যার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ নৌপথে পণ্য পরিবহন বৃদ্ধির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যে লক্ষ্য তা পূরণে হয়েছে। এই উদ্যোগের  মাধ্যমে ভারত, ভুটান এবং বাংলাদেশ উপকৃত হবে এবং প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যকার সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।

তিনি বলেন, এই রুটের মধ্য দিয়ে পণ্য পরিবহনের ফলে ৮ থেকে ১০ দিন সময় সাশ্রয় হবে, পরিবহন খরচ কমবে ৩০ শতাংশ এবং অন্যান্য খরচও কমবে। শ্রী মাণ্ডব্য আরও বলেন, এটি ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যের জন্য একটি বিকল্প পথ উন্মুক্ত করবে, যার মাধ্যমে দেশের অন্যান্য অংশ থেকে এই স্থানে পণ্য পৌঁছানো সহজ ও সাশ্রয়ী হবে।

ভারতের অভ্যন্তরীণ নৌ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জানান, ন্যাভিগেশন চ্যানেলে নাব্যতা বজায় রাখার জন্য ড্রেজিং করা হয়েছে এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী ড্রেজিং করা হবে। এছাড়াও ভারত সরকার অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় নৌপথ ব্যবহার বৃদ্ধি করে পণ্য পরিবহনের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে। ভারত-বাংলাদেশে ফেয়ারওয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে আশুগঞ্জ-জকিগঞ্জ রুটের ড্রেজিং কাজও চলমান রয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর