২০২৫ সালে বিশ্বের অর্ধেক কাজেই উচ্চস্তর যোগ্যতা প্রয়োজন হবে

ঢাকা, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-23 21:11:37

বাংলাদেশেসহ বিশ্বব্যাপী দক্ষ কর্মী ও সামাজিকভাবে যুক্ত মানুষের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তাই ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বের অর্ধেক কাজেই উচ্চস্তর যোগ্যতা প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনেসি তেরিংক।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ঢাকায় ২০১৯-২০ সালের জন্য ইরাসমাস মুন্ডুস স্কলারশিপ পাওয়া ৭৮ শিক্ষার্থীর এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রেনেসি তেরিংক বলেন, ‘বর্তমানে এখনো উচ্চস্তরের দক্ষতা লাভ করা মানুষের কাজের স্থান ফাঁকা রয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি দ্বারা পরিচালিত কাজগুলো আরও বেশি বিস্তৃত এবং জটিল হয়ে উঠছে। উদ্যোক্তা হতে যে কারো স্বতঃস্ফূর্ত সৃজনশীল চিন্তা করা, কার্যকরভাবে যোগাযোগ করা এবং স্থিতিশীল হওয়ায় পূর্বের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতার প্রয়োজন পড়ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইরাসমাস পাওয়া ব্যাক্তিরা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যে জ্ঞান অর্জন করে তাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে, পরিবর্তিত বিশ্বব্যাপী পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে, নতুন সুযোগ পেতে এবং তাদের প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পায়।’

বর্তমান বিশ্বে যে সকল বৃত্তিগুলো অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও সম্মানজনক বলে বিবেচনা করা হয় তার মাঝে অন্যতম হচ্ছে ‘ইরাসমাস মুন্ডুস স্কলারশিপ'। প্রতিবছর ইউরোপিয়ান কমিশন হতে সারাবিশ্বের শিক্ষার্থীদের জন্য এই শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। এর অধীনে ইউরোপের প্রায় সবগুলো দেশে নিজের পছন্দের বিষয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। এই স্কলারশিপ দেওয়ার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হল শিক্ষাবৃত্তির পাশাপাশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের মাঝে সংস্কৃতির আদান-প্রদান, পড়াশোনার পাশাপাশি ভাষা, মানুষ ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারা।

এছাড়া এই স্কলারশিপের অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে শিক্ষাবৃত্তির পরিমাণ। বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশের শিক্ষার্থীরা টিউশন ফি, ভ্রমণ ভাতা, স্বাস্থ্য বিমার পাশাপাশি বসবাসের জন্য মাসিক বৃত্তি পেয়ে থাকে। এই স্কলারশিপে ২০০ টিরও অধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি করার সুযোগ রয়েছে। এই শিক্ষাবৃত্তির অধীনে সকল কোর্সই আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষায় সাজানো। প্রতিটি মাস্টার্স কিংবা পিএইচডি প্রোগ্রামে থাকে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চুক্তি, যার ফলে শিক্ষার্থীরা তার কোর্সের সময়কালে পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে নূন্যতম দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করতে হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর