বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-26 18:00:13

দেশে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় দিনের প্রথম কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থায় পৌঁছায়নি। আবহাওয়াবিদদের মতে, বৃষ্টি আরো হতে পারে। যদি চীন, নেপাল, ভারতে আরো বৃষ্টিপাত হয় এবং সেখানে অবস্থিত ব্রহ্মপুত্র, যমুনার পানি যদি বৃদ্ধি পায়, তাহলে আমাদের বন্যা পরিস্থিতির আরেকটু অবনতি হতে পারে।’

বন্যার সব আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের এবং মাঠকর্মীদের সামর্থ্য আছে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে। আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসাসহ সব কিছুই নিশ্চিত করা হবে।’

বন্যায় এ পর্যন্ত ২০ জেলা আক্রান্ত হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে ১০টি জেলায় বন্যা ছিল। দুইদিন পরে ১৫টি হয়েছে, গতকাল পর্যন্ত ২০টি জেলা প্লাবিত হয়েছে। এসব জেলার উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে। প্রতিটি কমিটিকে দুর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।’

‘বন্যা কবলিত জেলাগুলোতে এ পর্যন্ত ৭০০ মেট্রিক টন চাল, প্রতি জেলায় চার হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার পাঠানো হয়েছে। আর প্রথমে দুই কোটি ৯৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, তারপর আরো ৩৭ লাখ টাকা আমরা গতকাল বরাদ্দ দিয়েছি। শিশুখাদ্যের জন্য এক লাখ টাকা ও গো-খাদ্যের জন্য এক লাখ টাকা করে প্রতি জেলায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়া প্রতি জেলায় ৫০০ করে তাবু পাঠানো হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।

ডিসি সম্মেলনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় ঘরের ব্যবস্থা করার কার্যক্রম শুরু করেছি। প্রথম ধাপে ১১ হাজার ৬০৪টি ঘর নির্মাণ শুরু করেছি। ডিসিদের পরামর্শ, ঘরের আয়তন আরো বিস্তৃত করা ও বাজেট বৃদ্ধি। আমরা ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে প্রতিটি ঘরের বাজেট দিয়েছিলাম দুই লাখ ৫৮ হাজার টাকা, কিন্তু এবার আমরা তিন লাখ টাকা করে বাজেট দিয়েছি। চলতি অর্থ বছরে আরো ২৩ হাজার ঘর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

‘বজ্রপাতে মৃত্যু রোধের জন্য বজ্রপাত নিরোধক টাওয়ার বসানোর প্রস্তাব করেছেন ডিসিরা। এছাড়া দুর্যোগ ও বন্যার সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য মোটর বোটের সংখ্যা বাড়াতে বলেছেন তারা, সারা বছর যাতে জ্বালানি থাকে সেটিও নিশ্চিত করতে বলেছেন। বন্যা কবলিত জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার জন্য নৌকার প্রস্তাবও এসেছে। আগে আমরা এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছিলাম, তারা সেখানে তিন লাখ বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন। আমরা বলেছি, তিন লাখ টাকাই দেওয়া হবে,’ যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর