ময়মনসিংহে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শামীম মিয়াকে (৩০) আটক করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে র্যাব-১৪ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব-১৪’র উপ-অধিনায়ক মেজর শিবলী সাদিক জানান, ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দা এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে নান্দাইল উপজেলার চাঁনভাদেরা গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী শামীম। এরপর গত ২৪ জুন বিয়ের কথা বলে ওই তরুণীকে ময়মনসিংহ থেকে নান্দাইলের কালিগঞ্জ বাজারে ডেকে নিয়ে যান শামীম। ওইদিন রাতে কালিগঞ্জ বাজারে নিজের টেইলার্সের দোকানে তাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত শামীম।
এরপর শামীমের সহযোগী পাশের কম্পিউটার সার্ভিসিংয়ের দোকানদার রিপন মিয়াসহ আরও দু’তিনজন তাকে ধর্ষণ করতে গেলে সে চিৎকার শুরু করে। পরে স্থানীয় কালীগঞ্জ-তারাইল সড়কের পাশে একটি পরিত্যক্ত ক্লাব ঘরে ওই তরুণীকে রেখে তারা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ ও পরিবারের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গত ২৫ জুন ওই তরুণী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শামীম, রিপন, হাবিব ও অজ্ঞাত একজনকে আসামি করে নান্দাইল মডেল থানায় মামলা করেন। পরে সোমবার (৮ জুলাই) রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার নয়ননগর থেকে ধর্ষক শামীমকে আটক করে র্যাব-১৪।
মেজর শিবলী সাদিক আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক শামীম ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ধর্ষণের অপর আসামি রিপন ও হাবিবকে আটকের চেষ্টা চলছে।