উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দেশকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে বেশি আন্তরিক বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, 'রংপুরসহ সারাদেশের জন্য প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক। তাঁর কারণে আজ জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে। কাউকে তিনি নিরাশ করেননি। উন্নয়নের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী সবই করবেন।'
শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে রংপুর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের ৫৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, 'সমবায় একটি আন্দোলন। এটি সুপরিকল্পিত আর্থিক কর্মসূচি। ঋণ প্রদান কর্মসূচির মাধ্যমে রংপুর অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে, বিশেষ করে কৃষিতে স্বনির্ভরতা অর্জন, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশ ছাড়াও পেশাজীবী শ্রেণীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।'
সভায় রংপুর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু তুষার কান্তি মন্ডলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির ব্ক্তব্য রাখেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য ও সচিব কামাল উদ্দিন তালুকদার।
অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সহ-সভাপতি সরোয়ার আলম মুকুল, পরিচালক আলী রেজা মোঃ সাকের, পরিচালক আমিনুর রহমান, বাবলু মিয়া, পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার শাহাদত হোসেন, পরিচালক আবু সাদাৎ হোসেন শাওন প্রমুখ।
সমবায় কর্মসূচির মাধ্যমে রংপুর অঞ্চলকে এগিয়ে নিতে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের ভূয়সি প্রশংসা করে বক্তারা বলেন, ‘রংপুর বিভাগের সবচেয়ে বড় সমবায় ব্যাংক কমপ্লেক্স রংপুরে নির্মিত হচ্ছে। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, বেকারত্ব ঘুচবে।’
সভা শেষে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য সহ বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্মাণাধীন ১৭ হাজার বর্গফুটের ১১তলা বিশিষ্ট রংপুর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক শপিং কমপ্লেক্সের কাজ পরিদর্শন করেন।
এরপর মন্ত্রী পীরগঞ্জের ফতেহপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ও তার কবর জিয়ারত করেন।
এর আগে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আসেন তিনি। সেখানে রংপুর আসার পথে তারাগঞ্জে নির্মাণাধীন পল্লী উন্নয়ন একাডেমী ভবন এবং গঙ্গাচড়ায় নির্মানাধীন গৃহায়ন প্রকল্প পল্লী জনপদ পরিদর্শন করেন।