সরকারি দুই কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কানাডার বাংলাদেশ হাই কমিশনের সাবেক কাউন্সিলর (স্থানীয়) মো. মকসুদ খানের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
দুদক সূত্রে জানা যায়, মকসুদ খান তিন খাতে এ টাকা আত্মসাৎ করেন। মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বাবদ সরকারি খাতের ৪,১২,৩৮২.০০ কানাডিয়ান ডলার, একই ব্যাংক ড্রাফট একাধিকবার ব্যবহার করে ১৫০০ কানাডিয়ান ডলার এবং খালিদ হাসান নামের এক ব্যক্তির পাসপোর্ট ফি বাবদ নিজের ব্যক্তিগত একাউন্টের মাধ্যমে নগদ ৩২০ কানাডিয়ান ডলার আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে মকসুদ খানের বিরুদ্ধে। যা বাংলাদেশি টাকায় দুই কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০৫ টাকা ৮০ পয়সা। অভিযুক্ত মকসুদ খান অসৎ উদ্দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এ টাকা ভোগ করেছেন।
দুদক উপপরিচালক প্রণব কুমার জানান, দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিলের জন্য কমিশনের অনুমতি চাইলে তা অনুমোদন পায়।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দুদক প্রধান কার্যালয়ের তৎকালীন উপপরিচালক মাহবুবুল আলম (বর্তমানে-উপপরিচালক, দুদক, সজেকা, চট্টগ্রাম-২) বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১৮। পরে দুদকের পক্ষে এ মামলার তদন্ত ভার দেওয়া হয় দুদকের উপপরিচালক মনজুর আলমের ওপর।