তিস্তায় বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি, ভাঙন ঝুঁকিতে প্রতিরক্ষা বাঁধ

রংপুর, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2023-08-26 00:48:34

তিস্তা নদী বেষ্টিত রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বন্ধ হয়নি বালু উত্তোলন উৎসব। একের পর এক প্রভাবশালী মহলের বালু উত্তোলনের প্রতিযোগিতায় হুমকির মুখে পড়েছে তিস্তার প্রতিরক্ষা বাঁধ। এতে বর্ষা মৌসুমে বন্যায় বাঁধ ভাঙনের আশঙ্কা করছে নদীপাড়ের বাসিন্দারা।

গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ কোলকোন্দ সিংগীমারী এলাকায় গত এক সপ্তাহে তিস্তা প্রতিরক্ষা বাঁধের কাছ থেকে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে অতিসম্প্রতি সংস্কার হওয়া প্রতিরক্ষা বাঁধটি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে।

স্থানীয়রা দ্রুত নদীর তীর থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করে বাঁধটি রক্ষায় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সহায়তা কামনা করছেন। এরই মধ্যে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে গ্রামবাসী।

সিংগীমারী গ্রামের কৃষক ফুল কুমার, পলাশ, কৃষ্ণ জানান, কয়েকদিন ধরে তিস্তা প্রতিরক্ষা বাঁধ ঘেঁষে ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলন করছে ওই গ্রামের প্রভাবশালীরা। অনেকবার নিষেধ করার পরও বালু উত্তোলন ঠেকানো যাচ্ছে না। ফলে তিস্তা প্রতিরক্ষা বাঁধের পাশে ভূগর্ভস্থের বালু সরতে সরতে গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে। এতে বাঁধটি এখন ভেঙে যাবার উপক্রম।

অন্যদিকে সুরেশ, উপিন, ক্ষেতুরাম নামে স্থানীয় কয়েকজন জানান, আসন্ন বন্যায় বাঁধটি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বালু উত্তোলনের কারণে আশপাশের ফসলি জমিগুলো ভেঙে পড়েছে। এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তারা প্রশাসনকে বারবার বলার পরও বালু উত্তোলন বন্ধ করা হয়নি।

এদিকে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত মেশিনের মালিক মিসকল বলেন, ‘আমি স্থানীয় রাজু চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে বালু উত্তোলন করছি। ওই বালু দিয়ে একটা ঘর নির্মাণ করা হবে।’

এ ব্যাপারে কোলকোন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রাজু বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি তো জানি একজন গরিব মানুষের ঘর নির্মাণের জন্য পুকুর থেকে মাটি তোলা হচ্ছে। বাঁধের পাড় থেকে বালু উত্তোলন করছে, এমন তথ্য আমার জানা নেই।’

স্থানীয় এলাকাবাসীর দেয়া অভিযোগের ব্যাপারে গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, বেশ কয়েকজন কৃষক লিখিতভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন থেকে নেয়া কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমা বেগমের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তা রিসিভ করেননি তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর