যক্ষ্মা শনাক্ত ও চিকিৎসায় ইউএসএআইডি’র সহায়তা জোরদার

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-19 01:20:39

বাংলাদেশ থেকে যক্ষ্মা রোগ নির্মূল করার জন্য নিজ নিজ অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার অঙ্গীকার করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি)।

নতুন এই অংশীদারিত্ব বিবৃতিতে (এসপি) স্বাক্ষর করেছেন তারা। যার মধ্য দিয়ে ২০২২ সালের মধ্যে যক্ষ্মা রোগের প্রকোপ হ্রাস করতে একটি যৌথ কাঠামো প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিবৃতি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইউএসএআইডি মিশন পরিচালক ডেরিক ব্রাউন বলেন, ‘ইউএসএআইডি বাংলাদেশের সব ধরনের অচিহ্নিত যক্ষ্মা (টিউবারকুলোসিস বা সংক্ষেপে টিবি) শনাক্ত, প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মপ্রচেষ্টায় জোরালো সহযোগিতা করবে।’

বাংলাদেশকে আগামী পাঁচ বছরে ১৫ লাখেরও বেশি নতুন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করে তাদের চিকিৎসা করতে হবে উল্লেখ করে ব্রাউন আরও বলেন, ‘আজ অংশীদারিত্ব বিবৃতি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ইউএসএআইডি, বাংলাদেশ সরকারের ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে, যখন কিনা দেশটি ২০২২ সাল নাগাদ তাদের লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টা জোরদার করছে।’

২০১৮ সালে বাংলাদেশ ২৫ লাখেরও বেশি যক্ষ্মা রোগীর চিকিৎসা করেছিল। তবে প্রায় ২৬ শতাংশ সংক্রমণের ঘটনাই অচিহ্নিত থেকে যায়। মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স (এমডিআর) অর্থাৎ একাধিক ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা ও শিশু রোগীদের ক্ষেত্রে অচিহ্নিত থাকার হার আরও বেশি।

উল্লেখ্য, ইউএসএআইডি’র মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশকে ৭শ’ কোটি ডলারেরও বেশি উন্নয়ন সহায়তা দিয়েছে। ২০১৮ সালে সংস্থাটি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রায় ২১ কোটি ৯০ লাখ ডলার দিয়েছিল। এসবের মধ্যে ছিল খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুযোগ সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নতি, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও অনুশীলন এগিয়ে নেওয়া, পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার সামর্থ্য বৃদ্ধি বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর