মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের দুর্ঘটনায় তদন্তের জন্য জোনাল প্রধান পর্যায়ে এবং বিভাগীয় কর্মকর্তা পর্যায়ের নয়জন সদস্যকে নিয়ে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উভয় তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার
জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুন) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার শরিফুল ইসলামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে আর্থিক সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। এছাড়া আহতদের চিকিৎসার জন্য খোঁজ রাখছেন তিনি।
জোনাল প্রধান পর্যায়ের তদন্ত কর্মকর্তার হলেন- চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (পূর্ব) মো. মিজানুর রহমান (আহ্বায়ক), চিফ ইঞ্জিনিয়ার (পূর্ব) আ. জলিল, চিফ অপারেটিং সুপারিনটিন্ডেন্ট (সিওপিএস) সুজিত কুমার ও চিফ সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকম অফিসার (পূর্ব) ময়নুল ইসলাম।
এছাড়া বিভাগীয় পর্যায়ে তদন্ত কর্মকর্তারা হলেন- কমলাপুরের ডিটিও মো. ময়নুল ইসলাম (আহ্বায়ক), কমলাপুরের ডিএমও ডা. আ. আহাদ, কমলাপুরের ডিএসটিই আবু হেনা মোস্তফা আলম, চট্টগ্রামের ডিএমই (পূর্ব) শাহ সুফী নূর মোহাম্মদ, ঢাকার ডিইএন আহসান জাবির।
উল্লেখ্য, রোববার (২৩ জুন) রাত পৌনে ১২টার দিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় সেতু ভেঙে উপবন এক্সপ্রেসের ছয়টি বগি খালে পড়ে যায়। এ ঘটনায় নিহত হয় আটজন আর আহত হয় অন্তত আরও শতাধিক। ফলে সিলেটের সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।