‘হাফেজ বানাতে ছেলেকে মাদরাসায় দিয়েছি, মেরে ফেলতে নয়’

ময়মনসিংহ, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ | 2023-08-22 04:54:10

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে নেজামুল হক (১২) নামে এক কওমি মাদরাসার ছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আহত নেজামুল উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের মাইজহাটি গ্রামের শাহগঞ্জ দারুল উলুম কওমি মাদরাসায় নাজেরা বিভাগের ছাত্র।

শনিবার (২২ জুন) দুপুরে অভিযুক্ত শিক্ষক আল আমিনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাত্রের বাবা মজিবুর রহমান। আহত মাদরাসাছাত্র নেজামুল স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো নেজামুল শনিবার সকাল ৬টায় ওই মাদরাসার ক্লাসরুমে কোরআন তেলাওয়াত করছিল। কিছু না বলেই হঠাৎ ওই বিভাগের দায়িত্বরত শিক্ষক আল আমিন তাকে মারধর শুরু করেন।

নেজামুল শিক্ষকের কাছে মারধরের কারণ জানতে চাইলে ওই শিক্ষক আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বেধড়ক লাঠিপেটা করেন। মারধরের কারণে একপর্যায়ে নেজামুল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তার সহপাঠীরা বাড়িতে খবর দিলে নেজামুলের বাবা ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

তার সহপাঠীরা জানায়, নেজামুলের বিরুদ্ধে এক সহপাঠীকে গালি দেয়ার অভিযোগে হুজুর তাকে মারধর করেছে।

নেজামুলের বাবা মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমার ছেলেকে মাদরাসায় ভর্তি করিয়েছি হাফেজ বানানোর জন্য কিন্তু তাকে মেরে ফেলার জন্য তো দেইনি। কোনো অপরাধ করলেও শিক্ষক কখনো এভাবে পেটাতে পারেন না। আমার ছেলেকে যে কায়দায় মারা হয়েছে তা বর্বরতা ছাড়া আর কিছুই না। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

মাদরাসাটির প্রধান শিক্ষক মাওলানা তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষক আল আমিন এখানে নতুন এসেছেন। যে কাজটি তিনি করেছেন তা মোটেও ঠিক করেননি। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক সজীব ঘোষ জানান, বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত শিক্ষক মাদরাসা থেকে পালিয়েছে। তবে তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর