ডিআইজি মিজানের ঘুষের অর্থ খুঁজছে পুলিশ

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-28 11:12:26

ডিআইজি মিজানুর রহমানের ঘুষের অর্থ অনুসন্ধানে নেমেছে পুলিশ। এজন্য সোমবার (১৭ জুন) তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে পুলিশ সদর দফতর।

কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. মইনুর রহমান চৌধুরীকে (অ্যাডমিন অ্যান্ড অপারেশন)। তদন্ত কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) শাহাবুদ্দীন কোরেশী ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মিয়া মাসুদ হোসেন।

ডিআইজি মিজানের ঘুষের অর্থ কোথায় আছে এবং এ ঘুষের উৎস কী তা জানতে অনুসন্ধান শুরু করেছে কমিটি। কমিটির দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করেই ডিআইজি মিজানের ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কতদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে হবে তা বেধে দেওয়া না হলেও কমিটিকে যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত শেষ করতে বলা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৮ জুন) তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) মো. সোহেল রানা।

সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে দুদকের এক কর্মকর্তাকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেন ডিআইজি মিজান। বিষয়টি জানাজানি হলে সব মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ঘুষ দাতা ও গ্রহীতার বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশসহ (টিআইবি) বিভিন্ন সংস্থা ও সর্বস্তরের মানুষ। এই কর্মকর্তা এর আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নির্যাতন করে সমালোচিত হন। ওই ঘটনায় গত বছর তাকে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে যুক্ত করা হয়। তার নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটিরও প্রধান ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মইনুর রহমান চৌধুরী।

এদিকে, উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তার এহেন কর্মকাণ্ডে পুলিশের নীতিনির্ধারণী মহল বিব্রত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। পুলিশ বাহিনীতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি চান না কেউ। ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে পুলিশ। এখনও তার বিরুদ্ধে কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতেও পুলিশ বাহিনী বদ্ধপরিকর।

এ সম্পর্কিত আরও খবর