কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাছে থাকা তথ্য গোপন রাখার বাধ্যবাধকতা রেখে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন- ২০১৯ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১৭ জুন) প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা এ অনুমোদন দেয়। বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
তিনি বলেন, ‘আইনের সংশোধনীতে এর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। সংশোধনীটি অনুমোদন পেলে ‘বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন’ নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন’ করা হয়েছে। সংস্থাটির কার্যক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন আইন, ১৯৯২ সংশোধন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, ‘এই আইনে কমিশনের কার্যাবলীতে কমিশনের কাজের পরিমাণ অনেক বেশি বাড়ানো হয়েছে। শুল্কনীতি পর্যালোচনা, আন্তর্জাতিক আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি, ট্রানজিট ট্রান্সশিপমেন্ট, জেএসপি, শিল্প বাণিজ্য বিনিয়োগ, বিকল্প নীতি এবং বৈদেশিক বাণিজ্যসহ অনেকগুলো বিষয় এই আইনে যুক্ত করা হয়েছে।’
শফিউল আলম বলেন, ‘পুরনো আইনের ৮ ধারায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ ধারায় উপধারা- ২ এ কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপধারা-২ এর অধীন প্রাপ্ত তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করবে।’
তিনি বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এখানে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তা যদি কোনো তথ্য আগেই ফাঁস করে দেয় তাহলে ব্যবসায়ের প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে সংকট তৈরি করতে পারে। এজন্য এই আইনে তাদের জন্য তথ্য গোপন রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আরেকটি বিষয় যুক্ত করা হয়েছে আইনের ১২ ধারায়। সেটা হলো গবেষণা বা সমীক্ষা কাজে সহায়তা করার লক্ষে কমিশন সরকারের পূর্ব অনুমোদনক্রমে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পরামর্শক ও গবেষক নিয়োগ করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা ক্ষেত্রে তারা নিজেরা কোনো হ্যান্ডস ডেভোলোপ করতে পারেনি। ফলে তারা প্রয়োজনীয় সংখ্যক কনসালটেন্ট নিয়োগ করতে পারবেন।’