বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ না থাকায় হতাশ রংপুরবাসী

রংপুর, জাতীয়

ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 14:53:12

সম্প্রতি জাতীয় সংসদে `সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শীর্ষক ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করা হয়েছে। বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। বাজেটে রংপুরে গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন প্রকল্পের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে দারিদ্র নিরসন ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পোশাক ও কৃষিভিত্তিক শিল্পাঞ্চল গড়তে বিশেষ বরাদ্দ না থাকায় হতাশা রংপুরবাসী।

এদিকে, জনকল্যাণমূলক ও বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই বাজেটকে বাস্তবমুখী বলছেন অনেকে। তবে উন্নয়ন বৈষম্য দূর করতে ও জেলার উন্নয়নে আঞ্চলিক বা বিশেষ বরাদ্দের বিকল্প নেই বলেও মনে করেন চেম্বার নেতাসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বিগত সময়ের মতো এবারের বাজেটেও অবহেলিত রংপুরকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। এই বাজেটে রংপুর বিভাগের শিল্পায়নে আলাদা ঋণ, কর ও ভ্যাট নীতি প্রণয়ন, বোরো মৌসুমে ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়া কৃষকদের বিশেষ প্রণোদনা, রংপুরে প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও আইটি পার্ক স্থাপন, উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নের স্বার্থে ‘নর্থ বেঙ্গল ডেভেলপমেন্ট মিনিস্ট্রি গঠনের বিষয়ে কিছুই বলা নেই। রংপুর বিভাগের মানুষ বারবার উন্নয়ন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এখন প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ ছাড়া এই বিভাগের উন্নয়ন সম্ভব নয়।’

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘এই বাজেটে রংপুর বিভাগের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি উপেক্ষিত হয়েছে। এই অঞ্চলের দারিদ্র্য নিরসন ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বাজেটে বিশেষ কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, 'এ অঞ্চলের পাঁচ জেলার এক কোটি ২০ লাখ মানুষের জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, অন্য জেলায় ১০ লাখ মানুষের জন্য তার দ্বিগুণ বরাদ্দ রাখা হয়। এরকম বৈষম্যমূলক বাজেট আমরা অনেক দেখেছি। তাই প্রস্তাবিত বাজেটে বৈষম্য দূর করতে রংপুরের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা জরুরি।'

কৃষক নেতা আবদুল কুদ্দুস বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ জনগণের কষ্ট বাড়বে। বিনিয়োগ ও শিল্পায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাস্তবে সুদের হার এক অংকে নামিয়ে আনার প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া তামাকনির্ভর রংপুর অঞ্চলের কয়েক লাখ শ্রমিক ও চাষিদের কথা বিবেচনা করে বিড়ি শিল্পকে কুটির শিল্প হিসেবে ঘোষণা হোক।' এ সময় সংশোধিত বাজেটে তামাক পণ্যের ওপর যৌক্তিক হারে করারোপেরও পরামর্শ দেন তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর