নাগরিক পদচারণায় মুখর ওয়ান্ডারল্যান্ড-চন্দ্রিমা উদ্যান

ঢাকা, জাতীয়

তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-12-31 17:26:37

চলছে ঈদের ছুটি; রাজধানীতে চিরচেনা যানজট না থাকলেও বিনোদন কেন্দ্রগুলো সকাল গড়িয়ে বিকেল অবধি নাগরিক পদচারণায় মুখর থাকছে। এসব বিনোদন কেন্দ্রে শিশুদের পাশাপাশি নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদ আনন্দে মেতেছেন।

 

শুক্রবার (৭ জুন) ঈদের তৃতীয় দিনে ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ড (শিশুমেলা) ও চন্দ্রিমা উদ্যানে ছিল অগণিত দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখরিত।

সরেজমিনে দেখা যায়, ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ডের বিভিন্ন রাইডে চড়তে শিশুদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর কাঙ্ক্ষিত রাইডে চড়তে পেরে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠছে শিশুরা।

ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ডের ম্যানেজার মোয়াজ্জেম হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, এবারের ঈদে শিশুদের জন্য অনেকগুলো রাইডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিড রাইডস গেমস, মেরি গো রাউন্ড, চুক চুক ট্রেন, হ্যাপিসুইং, সোয়ান অ্যাডভেঞ্চার, প্যারাট্রুপার, মিনি ট্রেন, টেয়িসট, ব্যাটারি কার, পেন্ডুলাম, ভিডিও গেমস, হেলিকপ্টার কর্নার, বাউন্সিং ক্যাসল, ড্রাগন রোলার কোস্টার, স্পেস শাটল, ওয়ান্ডার হুইল, থ্রিডি গ্যালারি, থ্রিডি অ্যাডভেঞ্চার ও বাম্পার কার ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন রাই। এসব রাইডের টিকিটের মূল সবসময়ের মতো ঈদেও ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ঘোরাঘুরির পাশাপাশি নিজেদের সন্তানের ঈদ আনন্দের স্মৃতি ধরে ক্যামেরাবন্দি করছেন অভিভাবকরা। এমনই এক অভিভাবক হারুন-উর-রশিদ বলেন, গত ১০ বছর যাবত কর্মক্ষেত্রের কারণে কাতারে থাকতে হয়েছে। এবারই সন্তানের সঙ্গে আমার প্রথম ঈদ। সন্তানের সঙ্গে আনন্দময় স্মৃতিটুকু ধরে রাখতে ছবি তুলে রাখছি।

ঈদের আনন্দে উচ্ছল ফারহানা মিলি বলে, অনেকবার শিশুমেলায় এসেছি, খুব ভালো লাগে এখানে আসতে। সবগুলো রাইডে চড়ে ফেলেছি। তবে আমার ব্যাটারি কারে চড়তে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।

মোখলেসুর রহমান নামে এক অভিভাবক বার্তা২৪.কমকে বলেন, এই বিনোদন কেন্দ্রের জায়গাটা বেশ ছোট। বিনোদন কেন্দ্রটি অন্য কোথাও স্থানান্তরিত করে আরো বড় পরিসরে করলে শিশুরা আরেকটু খোলামেলা পরিবেশে ঘুরতে পারবে।

রাজধানীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র চন্দ্রিমা উদ্যান। কোলাহলপূর্ণ নগরীতে যারা একটু প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে চান তারাই ছুটে আসেন এখানে। নবদম্পতি সোহেল রানা ও লাবনী আক্তারও এসেছেন চন্দ্রিমা উদ্যানে। বার্তা২৪.কমকে তারা বলেন, প্রকৃতি কাছাকাছি থেকে নিরিবিলি সময় পার করতে এখানে এসেছি। এখানে প্রকৃতির নির্মল বাতাস আর অসাধারণ পরিবেশ ভালো লাগছে। আশেপাশে গাড়ির শব্দ নেই, খুবই নির্জন একটা পরিবেশ। এই পরিবেশ একমাত্র ঈদের সময়টাতেই পাওয়া যায়। আমরা সেই সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইনি।

সবুজ গাছগাছালিতে ঘেরা চন্দ্রিমা উদ্যানে আগত দর্শনার্থী আতিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, রাজধানীতে বেশকিছু বিনোদন কেন্দ্র আছে, তবে সবগুলো বেড়ানোর উপযুক্ত নয়। মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে নির্মল বাতাস পেতে হলে অবশ্যই চন্দ্রিমা উদ্যান ভালো। তবে উদ্যানের পরিবেশের দিকে আরো একটু নজর দেওয়া উচিত কর্তৃপক্ষের।

ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ড ও চন্দ্রিমা উদ্যানে আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানান, ঈদ উদযাপনে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে তারা তৎপর রয়েছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর