ঈদগাহে জায়নামাজ ছাতা ছাড়া অন্যকিছু নয়

চট্টগ্রাম, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম | 2023-08-28 13:24:46

বন্দরনগরীর প্রধান ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।

তিনি বলেছেন, ‘বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সকল কার্যক্রম ও অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন হচ্ছে। অন্যান্যবারের চেয়ে এবারের ঈদের আনন্দের মাত্রা সর্বোচ্চ ছুঁয়েছে। গভীর রাত অবধি মানুষ নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করে ঘরে ফিরছে। এবারের ঈদের যাত্রা অন্যান্য বছরের চেয়ে স্বস্তিদায়ক হয়েছে। তেমন কোনো ভিড় নেই। এর ধারাবাহিকতায় আজ (রোববার) ও আগামীকাল (সোমবার) প্রচলিত নিয়মে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল থাকবে। বিশেষ করে ঈদের দিনে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের তিন গেট দিয়ে মুসল্লি প্রবেশ করবে। কোনো ব্যক্তিকে তল্লাশি ছাড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’

সোমবার (৩ জুন) জমিয়াতুল ফালাহ ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে সিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

নগরবাসীকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে শুধু জায়নামাজ এবং বৃষ্টি হলে ছাতা ছাড়া অন্যকোনো ব্যাগ বা জিনিস বহন করা যাবে না। দুটি ওয়াচ টাওয়ার ছাড়া মোবাবল পার্টি, বোম ডিসপোজাল টিম, ছয়টি তল্লাশিশ চৌকি স্থাপন করা হবে।’

শোলাকিয়া মাঠে বোমা বিস্ফোরণের কথা তুলে ধরে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কোনো হুমকিকে অনুভব করছি না। সব ধরনের হুমকি মোকাবিলার প্রস্তুতি আছে। এ লক্ষ্যে বিশেষায়িত টিম সোয়াত, সিআরটি ও বোম ডিসপজাল প্রস্তুত থাকবে। যাতে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যবস্থা নিতে পারি।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাহাবুবর রহমান বলেন, ‘ই মুহূর্তে কোনো হুমকির কথা জানা নেই। তবে আমরা যে কোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি।’

এদিকে, ঈদকে কেন্দ্র করে ফাঁকা হতে শুরু করেছে ব্যস্ত নগরী চট্টগ্রাম। এতে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন নগরবাসী।

এ বিষয়ে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বিভিন্ন সময় এমন হয়। এক্ষেত্রে আমরা আবাসিক এলাকা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ বাহিনী নিয়োজিত করেছি। এছাড়া ব্র্যাকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপত্তার ন নিজেদের ব্যবস্থা সমন্বয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, সোমবার সকালে জমিয়াতুল ফালাহ ঈদগাহ মাঠে গিয়ে দেখা যায় শেষ সময়ের প্রস্তুতি কাজ করছেন শ্রমিকরা। সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে মাঠজুড়ে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আইটি সেলের কর্মকর্তা মো.ইকবাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ২১টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে আরও বাড়ান হবে। পুলিষের মধ্যে দিয়ে পুরো এলাকা মনিটরিং করবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর