ঈদ বাজারে লাগামহীন দাম ছোটদের পোশাকে

ঢাকা, জাতীয়

Shadrul Abedin | 2023-08-30 08:23:22

ঈদুল ফিতরের শেষ সময়ে রাজধানী জুড়ে চলছে কেনাকাটার ধুম। বড়দের থেকে ছোটদের নতুন পোশাক কেনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ঈদের আমেজ। কিন্তু প্রতিবারই ছোটদের পোশাকের জন্য কেনাকাটা করতে এসে অতিরিক্ত দাম গুনতে হয় অভিভাকদের। এবারও এর বেতিক্রম ঘটেনি মার্কেটগুলোতে। 

গেল সপ্তাহে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করতে আসা অভিভাবকদের সঙ্গে বার্তা২৪.কম-এর আলাপকালে এসব তথ্য উঠে আসে।

আভিযোগ আছে, ঈদ বাজারে সব পোশাকেই কমবেশি অতিরিক্ত মূল্য রাখা হয়। কেনাকাটা করতে এসে দামে হিমশিম খেতে হয়। আর সেখানে ছোটদের পোশাকের দাম লাগামহীন। তবুও নিরুপায় হয়ে বাচ্চাদের ঈদ আনন্দের জন্য বাড়তি দাম দিয়ে কেনাকাটা করতে বাধ্য হচ্ছেন আভিভাবকরা।

নূর ম্যানশন মার্কেটে বার্তা২৪.কম-এর সঙ্গে কথা হয় সরকারি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের। তারা ছেলে মেয়ের জন্য ঈদের পোশাক কিনতে পরিবার নিয়ে বের হয়েছেন।

রফিকুল বলেন, ‘বাবা হিসেবে বাচ্চাদের আবদার না মেটাতে পারলে আসলে ঈদ আর ঈদ থাকবে না। বেশ কিছু ব্যস্ততার জন্য এর আগে তাদের সময় দিতে পারিনি। এখন বেরিয়েছি পরিবারসহ বাচ্চাদের জন্য তাদের শখের কেনাকাটা করতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাচ্চাদের মার্কেটে এমনিতেই পা ফেলার জায়গা নেই, মানুষের প্রচণ্ড চাপ। এরমধ্যে দাম শুনে পড়ে যাই বিপাকে। বাচ্চারা যেটা পছন্দ করে এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আবার দোকানিরা যে দাম বলেন এর বাইরেও কথা বলার সুযোগ নেই। সব মিলে নিরুপায় আর অস্বস্তি নিয়েই সারতে হচ্ছে কেনাকাটা।’

এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী ও তার সন্তানদের নিয়ে এসেছেন মৌচাক মার্কেটে। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘অন্যান্য সময়ের চেয়ে বাচ্চাদের কাপড়ের দাম এতো বেশি যে, ভাবাই যায় না। আবার সবখানে একদাম। বাচ্চারা পছন্দ করে নিজের মতো আর এ সুযোগে দোকানিরাও দাম রাখছেন ইচ্ছে মতো।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রচণ্ড ভিড়ে কেনাকাটা করাটা যেমন কঠিন, তার চেয়ে বেশি কঠিন বাচ্চাদের পছন্দের পোশাক কেনাটা। কিন্তু কি আর করার, কিনতে তো হবেই।’

তবে অতিরিক্ত দাম নিয়ে আপত্তি রয়েছে ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, কাপড়ে সামান্য দাম বেড়েছে। তবে ক্রেতারা যতটা আতঙ্ক মনে করছেন ঠিক ততটা না।

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে গাউছিয়া মার্কেটের এক দোকান মালিক বলেন, ‘ঈদে কাপড়ের দাম কিছুটা বাড়তি থাকেই। তাছাড়া এবার সব কিছুর মূল্য অনেক বেশি। আমরা কিনে আনছি চড়া মূল্যে। এরপর আমাদের লাভ, কর্মচারীদের বেতন বোনাস, অন্যান্য খরচতো আছেই। এটুকু লাভ না রাখলে আমরাও অচল হয়ে যাব।’

উৎসব ফ্যাশনের কর্মচারী আলী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ঈদ কেন্দ্রিক বিক্রি সন্তোষজনক। বাচ্চাদের মার্কেটে বেচাকেনা ভালোই থাকে। তাই এ সময়টাতে বেশি কথা বলার সুযোগ থাকে না। এজন্য সব দিক বিবেচনা করে আমরা একটা মূল্য নির্ধারণ করে দেই। যাতে কাস্টমারের সঙ্গে বেশি কথা বলতে না হয়।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর