দুই যুগ পূর্তিতে পরিণত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি 

ঢাকা, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 04:19:31

ডিআরইউ (ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি) শব্দের উচ্চারণটি অনেকটা ইংরেজি ডিয়ার ইউ (Dear you) এর মতো। যার অনুবাদ করলে দাঁড়ায় “প্রিয় তুমি” কিংবা জেন্ডার ভেদে “ প্রিয়া তুমি”।

নামকরণের সময় প্রতিষ্ঠাতাদের মাথায় বিষয়টি খেলেছিলো কি-না, কে জানে। কিন্তু দুই যুগের ব্যবধানে ডিআরইউ সত্যিই ”প্রিয় তুমি”তে পরিণত হয়েছে। স্থান করে নিয়েছে সকলের মনের মণিকোঠায়। বিশেষ করে পেশাদার সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এখন অনন্য নাম ডিআরইউ।

দাবি-দাওয়া, আন্দোলন-সংগ্রামে এখন প্রিয় তুমি এখন সবার মুখে মুখে। ডিআরইউ ছাড়া পেশাদার সাংবাদিকদের কোনো অন্দোলন এখন আর ভাবাই যায় না। হবেই না কেনো, এর জন্মই যে হয়েছিলো সংগ্রামের মধ্য দিয়ে।

সালটা ছিলো ১৯৯৫। তখন বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু নির্মাণাধীন। সেতুর কাজ পরিদর্শনে কিছু সাংবাদিক নেওয়ার কথা। তালিকা করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সঙ্গে অপেশাদার সুলভ আচরণ করে সরকারি কর্মকর্তারা। আর এতেই বেঁকে বসেন তৎকালীন কিছু পেশাদার সাংবাদিক।

যার ফলশ্রুতিতে আত্মপ্রকাশ করে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি। এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা  করতে গিয়ে অনেক চোখ রাঙানি উপেক্ষা করতে হয়েছে সেদিনের উদ্যোক্তাদের। সংগঠন গড়তে যেমন বাধা বিপত্তি পেরুতে হয়েছে তেমনি মাথা গোঁজার ঠাঁই গাড়তেও ভীষণ বেগ পোহাতে হয় উদ্যোক্তাদের।

১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠা হলেও এর সমৃদ্ধির সোপান মনে করা হয় ২০০৪ সালকে। ওই সময়ে কার‌্যকরি কমিটির আপোষহীণ ভূমিকার ফলে নিজের জমির উপর অধিকার প্রতিষ্ঠা পায়।  তখন স্বল্প পরিসরেও বেশ কিছু আয়োজনের মাধ্যমে নিজের অবস্থান জানান দিতে সক্ষম হয়।  ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডে’তে এক আয়োজনে হাজির হয়েছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সকল দেশের রাষ্ট্রদূত।

আবার একই মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল বিএনপির মহাসচিব প্রয়াত আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া এবং বিরোধীদলের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আব্দুল জলিল। সেই মঞ্চ থেকে ৩০ এপ্রিল সরকার পতনের ডেটলাইন ঘোষণা করেছিলেন আব্দুল জলিল। যা নিয়ে তখন ব্যাপক হৈঁচৈ শুরু হয়েছিলো। এরপর নানান চড়াই-উতরাই পেরিয়ে, কখন মন্থর, কখনও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে সংগঠনটি। হাতেগোনা কয়েকজন সদস্য নিয়ে গঠিত হলেও এর সদস্য সংখ্যা ১৮’শতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

আন্দোলন-সংগ্রাম, সদস্যের নিরাপত্তা এবং পরিবারবর্গের চিত্ত বিনোদনের আয়োজন সংগঠনটিকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছে। যার ধারের কাছেও নেই কোনো সংগঠন। এখানে সুষ্ঠু ধারার সাংস্কৃতি চর্চা যেমন হয় তেমনি ক্রীড়া শিক্ষার ক্ষেত্রের ভূমিকা অনন্য। সদস্যের সন্তানদের জন্য রয়েছে গানের স্কুল ‘সারগাম’ ও আর্টের স্কুল ‘রংতুলি’।

নানান আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশে সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত রিপোর্টারদের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র সংগঠনে পরিণত হয়েছে হচ্ছে ডিআরইউ।

বর্নাঢ্য আয়োজনে রোববার (২৬ মে) দুই যুগ পূর্তি পালন করছে ডিআরইউ। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো  সকাল ১১টায় ডিআরইউ প্রাঙ্গণে জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। র‌্যালী আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ ইফতার মাহফিল।

এ সম্পর্কিত আরও খবর