সবাইকে আগাম ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যেহেতু ঈদের সময় থাকতে পারছি না, সেহেতু এ ইফতার মাহফিল থেকে আমি আগেভাগে দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক ঈদ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক ইফতার মাহফিলে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। বিচারপতি, কূটনীতিক ও উচ্চপদস্থ বেসমারিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের সম্মানে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন সরকারপ্রধান।
দুঃখপ্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি খুবই দুঃখিত যে, বিদেশ সফর থাকায় ঈদে দেশে থাকতে পারছি না। প্রথমে আমি জাপান যাব, এরপর ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সৌদি আরব যাব এবং সেখান থেকে আমি ফিনল্যান্ড যাব। ৭ জুন দেশে ফিরব।’
এ সময় শেখ হাসিনা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অব্যাহত ও আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, ‘রমজান হলো দোয়া কবুলের মাস। আমরা চাই বাংলাদেশ যে পথে অগ্রসর হচ্ছে, যেন সে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত ও দেশের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারি, সেজন্য দোয়া করবেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের সমাজ সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত থাকুক।’
ইফতারের আগে দেশ ও জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
ইফতারে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, তিন বাহিনীর প্রধানগণ ও কূটনৈতিক কোরের ডিনরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ, এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ ইফতারে যোগদান করেন।