তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রভাবশালীর ও বিত্তশালী চক্রের হাত থেকে আমাদের নদী গুলো রক্ষা করতে হবে। এজন্য আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমি আপনাদের সাথে আছি, থাকবো। আসুন সবাই মিলে, যারা নদী দখলকারী প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলি।’
শনিবার (২৩ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে 'নদী ও পরিবেশ সুরক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দিনটিকে জাতীয় নৌ নিরাপত্তা দিবস ঘোষণার দাবিতে জাতীয় নদী রক্ষা জোটের সহযোগীতায় সভাটির আয়োজন করে নঙর ও নদী রক্ষা জোট।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশ রক্ষার জন্য বহু কাজ করেছেন। ২০১০ সালে আমাদের যে ডেল্টা প্ল্যান করা হয়েছে তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছেন। বাংলাদেশের পরিবেশ ও নদী রক্ষার জন্য কাজ করতে হবে। কারণ, নদী হচ্ছে এ দেশের মানুষের প্রাণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিরা-উপশিরার মতো মানুষের রক্তগুলো যখন দূষিত হয় তখন মানুষের মৃত্যু হয়। তেমনি দেশের নদীগুলো দূষিত হলে দেশ ও দেশের মানুষের ক্ষতি হয়। তাই দেশের নদীগুলোকে দূষণমুক্ত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগ সরকার নদী দখল, দূষণমুক্ত রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বুড়িগঙ্গা ও কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।’
নদী রক্ষা কমিশন এবং নদী রক্ষায় সম্পর্কিত সরকারি সংস্থার প্রতি আহ্বান জানিয়ে এই মন্ত্রী বলেন, ‘নদীর পাড়ে ভবন তৈরি করার যে অনুমতিগুলো আপনারা দেন, তা ভালো করে দেখে দেবেন। যাতে নদীর প্রবাহ বাধা সৃষ্টি না হয়, নদী দখল না হয়।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, নঙর ও নদী রক্ষা জোটের সভাপতি সুমন শামস, শেখ রোকন প্রমুখ।