প্রতিবন্ধীদেরকে সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে তাদের সম্পর্কে ইতিবাচক এবং প্রায়োগিক কর্মসূচি গ্রহণের জন্য দেশের নীতিনির্ধারক, বিশেষজ্ঞ ও উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।
তিনি বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের ব্যাপারে পরিবার ও সমাজের বিশেষ যত্ন যেমন প্রয়োজন তেমনি সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে এদেরকে আত্ম-নির্ভরশীল ও বিভিন্ন কাজে সক্ষম হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।
মঙ্গলবার (২১ মে) রাজধানীয় ইস্কাটন গার্ডেনে সুইড বাংলাদেশের অডিটরিয়ামে ‘বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীদের কর্মক্ষেত্র এবং উন্নয়ন’ শীর্ষক তিনদিন ব্যাপী এক সেমিনারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডেপুটি স্পিকার একথা বলেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, বর্তমান প্রতিবন্ধীবান্ধব সরকারের আন্তরিকতা ও সহযোগিতায় প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে সারাদেশে প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন এবং প্রশাসনের কর্মকাণ্ড আরো বিস্তৃত হয়েছে। অটিস্টিক শিশুদের জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল যে ভূমিকা রেখে চলছেন তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। সরকারের গৃহিত বিভিন্ন পদক্ষেপরে কারণে দেশের বিশেষ শিশুদেরকে অভিভাবকগণ আর অন্তরালে রাখছেন না। সুইড বাংলাদেশ পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ (প্রতিবন্ধী) শিশুদের ভর্তির মাধ্যমে তাদের মানসিক বিকাশের পথকে সুগম করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধীদেরকে সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে তাদের সম্পর্কে ইতিবাচক এবং প্রায়োগিক কর্মসূচি গ্রহণের জন্য দেশের নীতিনির্ধারক, বিশেষজ্ঞ ও উন্নয়ন সহকর্মীদের প্রতি আহবান জানান ডেপুটি স্পিকার।
তিনি বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের ব্যাপারে পরিবার ও সমাজের বিশেষ যত্ন যেমন প্রয়োজন তেমনি সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে এদেরকে আত্ম-নির্ভরশীল ও বিভিন্ন কাজে সক্ষম হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।
সুইড এর এ ধরনের সেমিনার আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান ডেপুটি স্পিকার। এ সময় তিনি বলেন, যে সকল শিক্ষক, অভিভাবক বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করেন তাদের জন্য এ সেমিনারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ফলপ্রসু হবে।