স্বপ্ন বুনছে বদরুন নাহার রক্সির ‘স্বপ্নের বাংলাদেশ’

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-25 15:09:42

 

সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মানবতার কল্যাণে ইতিবাচক ধারণা নিয়ে যেসব স্বপ্নবাজ তরুণ-তরুণী কাজ করে যাচ্ছেন তাদের একজন বদরুন নাহার রক্সি। গড়ে তুলেছেন ‘স্বপ্নের বাংলাদেশ’ নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে নিজের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন নিরলসভাবে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরাতে ২০১৪ সালে ‘স্বপ্ন দেখি গড়তে মোরা সোনার বাংলাদেশ’ স্লোগানে যাত্রা শুরু করেন স্বপ্নের বাংলাদেশ প্লাটফর্ম।

সুবিধাবঞ্চিত শিশু শিক্ষার্থী ও তাদের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছবি: বার্তা২৪

 

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মৌলিক, নৈতিক, ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষা দিচ্ছে সংগঠনটি। পাশাপাশি নারীর উন্নয়নের লক্ষ্যে গ্রামীণ পিছিয়ে পড়া নারীদের হস্তশিল্প প্রশিক্ষণ, নারী ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়ন, বাল্যবিবাহ রোধ ও মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে যুব সমাজকে রক্ষার জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন তারা।

২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত দুই হাজারেরও বেশি মেয়ে শিশু ও নারীকে হস্ত ও কুটির শিল্পে প্রশিক্ষণ দিয়েছে সংগঠনটি। যাদের মধ্য থেকে তৈরি হচ্ছে নেতৃত্ব, এগিয়ে নিচ্ছে কাজ, নারী উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করছে নিজেকে।

ইফতারে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা, ছবি: বার্তা২৪

 

এখানেই থেমে থাকেনি স্বপ্নবাজ তরুণী। হস্ত ও কুটির শিল্পে নারী উদ্যোক্তা তৈরির পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো পৌছে দিতে ঢাকার নিকুঞ্জে গড়ে তুলেছেন স্বপ্নের পাঠশালা। যেখানে ৩০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে বিনামূল্যে শিক্ষার পাশাপাশি দেয়া হচ্ছে নানা শিক্ষা উপকরণ। 

এছাড়াও নারী ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, বিনামূল্যে কোরআন শিক্ষা ও বিতরণ, শিশু ও বয়স্কদের মাঝে খাবার বিতরণও করে থাকেন তারা। ছেলে মেয়েদের কাছে ঠাই না পাওয়া মানুষদের খাবার, কাপড়, চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের থাকার জন্য খুপরি ঘরও তৈরি করে দেয়া হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।

শিশুদের নিয়ে বইমেলায় এক শিক্ষিকা, ছবি: বার্তা২৪

 

কুমিল্লা এবং ঢাকায় সংগঠনের ব্যাপ্তি থাকলেও তা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে চান এর প্রতিষ্ঠাতা বদরুন নাহার রক্সি।

নিজের গড়া সংগঠন সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠাতা বদরুন নাহার রক্সি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘অনার্স পড়াকালীন চিন্তাভাবনা করতাম যে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কিছু একটা করি। তখন সম্ভব হয়নি। তাই অনার্স শেষ করে শুরু করি। আমার ইচ্ছা লক্ষাধিক শিশুকে স্বাবলম্বী করা যাতে অন্তত নিজেদের প্রয়োজন নিজেরাই পূরণ করতে পারে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর