নিখোঁজ ও ভাড়াটিয়ার তথ্য নিচ্ছে পুলিশ

ঢাকা, জাতীয়

শাহরিয়ায় হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 03:02:08

শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সন্ত্রাস বা জঙ্গি দমনে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আবারও নিখোঁজদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ। পাশাপাশি ভাড়াটিয়া ও বাসা-বাড়ির মালিকদের হালনাগাদ তথ্যও সংগ্রহ করা হচ্ছে।

সম্প্রতি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া এক আদেশে সংশ্লিষ্টদের কাছে এমন নির্দেশনা পাঠিয়েছেন। এই আদেশে, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি লক্ষ্যে মহানগর পুলিশের প্রতিটি থানার ওসিকে উঠান বৈঠক ও কমিউনিটি পুলিশিং সভা করতে বলা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুলিশ কমিশনারের ওই অফিস আদেশে বলেছেন- সম্প্রতি শ্রীলংকায় সংঘটিত সন্ত্রাসী তৎপরতা এবং বাংলাদেশে ইতোপূর্বে সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, সন্ত্রাস ও জঙ্গি কার্যক্রমের পেছনে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অনুষঙ্গ কার্যকর রয়েছে। যার ব্যপ্তি-পরিধি ব্যাপক ও বিস্তৃত। এ রকম একটি সমস্যা শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা নিরসন করা সম্ভব নয়। জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমেই এ কাজে সফলতা পাওয়া সম্ভব।

আদেশে আরো বলা হয়, বর্তমানে ডিএমপিতে চালু থাকা ৩০২টি বিটকে আরও কার্যকর ও সক্রিয় করে ক্রমাগতভাবে উঠান বৈঠক বা কমিউনিটি পুলিশিং সভার আয়োজন করতে হবে।

অন্যদিকে হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া তরুণ-যুবকদের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করা কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি ভাড়াটিয়া বা বাড়িওয়ালার তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।

অবশ্য অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিখোঁজ তরুণ-যুবকদের ব্যাপারে পরিবারকে দায়িত্বশীল এবং তাদের সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর জন্য অভিভাবকদের আহ্বান জানিয়েছেন।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) আব্দুল বাতেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এরই অংশ হিসেবে গণসংযোগ সপ্তাহ চলছে, যা থেকে ভালো ফলাফল আসবে বলে আমরা আশা করছি।

এদিকে শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নিয়ে নানামুখী আলোচনার মধ্যে সতর্কতা অবলম্বন করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সুনির্দিষ্ট হামলার আশঙ্কার কথা সরাসরি স্বীকার না করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, রাজধানীসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

বিভিন্ন এলাকায় সিসিটিভি বাড়ানো, বিভিন্ন ধর্মালম্বীদের উপাসনালয়ের নিরাপত্তা বাড়ানোসহ ভিজিবল পুলিশিং এবং গোয়েন্দা নজরদারি দেখা গেছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর